৯ ডিসেম্বর রাতে লালমনিরহাটের বড়খাতা ইউনিয়নের দোয়ানী মোড় এলাকা থেকে ৫৩ বস্তা সার লুটের ঘটনা ঘটে।
Published : 15 Dec 2024, 09:28 PM
সারাদেশে সারের সংকটের মধ্যে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পিকআপ থামিয়ে ৫৩ বস্তা সার লুটের ঘটনায় কৃষি কর্মকর্তা, ছাত্রদল নেতাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন-নবী রোববার বলেন, বুধবার এসআই আব্দুল্লাহ আল-মামুন মামলাটি করেছেন। মামলায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা খন্দকার সেবিন, ফকিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও শরিফুল ইসলাম সবুজসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
৯ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোয়ানী মোড় এলাকা থেকে ৫৩ বস্তা সার লুটের ঘটনা ঘটে। পরদিন ১০ ডিসেম্বর ভোরে উপজেলার বড়খাতা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৭ বস্তা সার উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পাটগ্রাম উপজেলার থানাপাড়া এলাকার আশরাফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট এলাকার শাহজাহান নামে এক সার ব্যবসায়ীর কাছে ৮০ বস্তা সার বিক্রি করেন। সেই সার নিয়ে একটি পিকআপ পাটগ্রাম থেকে কালীগঞ্জ যাওয়ার পথে ৫৩ বস্তা সার লুট হয়।
ঘটনাস্থলে কৃষি কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা খন্দকার সেবিন, ছাত্রদলের নেতা রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও শরিফুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন বলে মামলায় বলা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছাত্রদল নেতা রাশেদুল ইসলাম সবুজের বাড়ি থেকে ১১ বস্তা এবং তার দেওয়া তথ্যমতে আরো ৩৬ বস্তা সার উদ্ধার করে।
এ ঘটনার পর পরই সবুজ ও শফিকুলকে তাদের সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুবেল ইসলাম জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা খন্দকার সেবিন বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।”
পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার বলেন, “শামসুজ্জোহা খন্দকার সেবিন আমার উপজেলায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন। আমি শুনেছি তার বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা হয়েছে।”
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তার বিরুদ্ধে দাপ্তরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।