কবিরহাট থানার ওসি বলেন, “ইজারা নিয়ে মনোমালিন্য ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।”
Published : 12 Mar 2025, 09:38 PM
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় বাজারের ইজারা নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বুধবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে কবিরহাট থানার ওসি মো. শাহীন মিয়া জানান।
তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে তারা কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং জেলা সদরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানায়, ১৬ ফেব্রুয়ারি কবিরহাট উপজেলার বার্ষিক হাট-বাজার ইজারার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এরপর দরপত্র কিনে অনেকে জমা দেন।
বুধবার বিকালে ওই দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বাজার ইজারার প্রথম ধাপের কাজ শেষ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমা। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে সর্বোচ্চ ২৩ লাখ টাকায় ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের আমিন বাজারের ইাজারা পান চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান আকাশ।
এ নিয়ে উপজেলা পরিষদ মাঠে আমিন বাজারের পুরাতন ইজারাদার বিএনপি নেতা ধনু মেম্বার ও তার ছেলে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব মো. সুজনের সমর্থকদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতা কামরুল হাসান আকাশের সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা কামরুল হাসান আকাশ বলেন, “আমি কোনো দলের পরিচয়ে ইজারা পাইনি। ইজারা না পেয়ে ধনু মেম্বার ও তার ছেলে যুবদল নেতা সুজন গায়ে পড়ে মারামারি করতে চেয়েছে। এতে আমার একজন লোকের হাত ভেঙে যায় এবং আরো কয়েকজন আহত হয়।”
ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব মো. সুজনের ছোট ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাদের ৭-৮ জন প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
কবিরহাট থানার ওসি মো. শাহীন মিয়া বলেন, “ইজারা এক পক্ষ পেয়েছে আরেক পক্ষ পায়নি। এটা নিয়ে মনোমালিন্য ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে বের করে দেয়।”
ইউএনও পূদম পুষ্প চাকমা বলেন, “দরপত্র মূল্যায়নে অনেক মানুষ এসেছে। মূল্যায়ন শেষে জটলা হয়েছে। তবে মারামারির কোনো ঘটনা দেখিনি।”