“এই হত্যাকাণ্ড অন্য এলাকা থেকে এসে কেউ করেনি। এই এলাকার লোকজনই করেছেন।”
Published : 11 Sep 2024, 09:14 PM
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে হত্যার আগে তারা প্রাণভিক্ষা চেয়েছিল; কিন্তু হামলাকারীরা তাদের বাঁচতে দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি আলমগীর রহমান।
তিনি বলেছেন, “যুদ্ধের মাঠে যদি কেউ আত্মসমর্পণ করে তাদেরকে হত্যা থেকে বিরত থাকে প্রতিপক্ষ। কিন্তু এনায়েতপুর থানায় চলা হত্যাযজ্ঞের সময় পুলিশ সদস্যরা প্রাণভিক্ষা চেয়েও রক্ষা পায়নি। এখানে আরও তিনজন সাধারণ মানুষ মারা গেছেন। যারা মারা গেছেন কেবল তাদের পরিবার এই বেদনা বহন করছেন। এই জ্বালা আপনি-আমি বুঝব না।
“এই হত্যাকাণ্ড অন্য এলাকা থেকে এসে কেউ করেনি। এই এলাকার লোকজনই করেছে।”
বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার অস্থায়ী কার্যালয়ে এলাকার রাজনীতিবিদ ও সুধীজনদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি এসব কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ৪ অগাস্ট এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ১৫ পুলিশ সদস্যকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় থানায় অগ্নিসংযোগ করে ভাঙচুর ও অস্ত্র লুট করা হয়।
ডিআইজি আলমগীর হোসেন মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সবার প্রতি পুলিশের কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে সহযোগিতা কামনা করেন।
জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় আরো বক্তব্য দেন সেনাবহিনীর সিরাজগঞ্জ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হোসেন রেজা, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা সাইদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মঞ্জু শিকদার, আব্দুস সালাম, এনায়েতপুর থানা জামায়াতের আমির ডা. সেলিম রেজা, ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক।