নির্বাচিত হলে রাজশাহীর উচ্চ শিক্ষিত থেকে স্বল্প শিক্ষিত, সব শ্রেণির তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেবেন বলে জানিয়েছেন সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর শিরোইল মঠপুকুর, বালিয়াপুকুর মোড় ও দেবিশিংপাড়ায় গণসংযোগ করেন তিনি। সে সময়ই এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “এবার আমার নির্বাচনী স্লোগান- ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান’। আমাদের ছেলে-মেয়েদের কর্ম দরকার। তাদের মধ্যে কেউ উচ্চ শিক্ষিত, কেউ মধ্যম, কেউ অষ্টম শ্রেণি পাস, আবার কেউ তেমন পড়ারেখা করতে পারেনি। সবার জন্যই কর্মের ব্যবস্থা করতে হবে।
“যারা সোয়েটার বুনবে তাদের জন্য সোয়েটার তৈরির কারখানা, যারা কাপড় সেলাই করতে পারে তাদের জন্য কাপড়ের কারখানা, যারা হাতে-কলমে কাজ করতে তাদের জন্য কৃষিনির্ভর কারাখানা তৈরি করতে চাই। নওদাপাড়ায় শিল্প এলাকা গড়ে উঠছে। প্রধানমন্ত্রী বিসিক শিল্পনগরী-২ দিয়েছেন, সেটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে, এখন প্রায় ২২৭টি প্লট আগ্রহী উদ্যোক্তদের বরাদ্দ দেওয়া হবে।”
ঢাকা, গাজীপুর, নারায়াণগঞ্জ থেকে শিল্পপতিদের রাজশাহীতে এনে ছোট করে হলেও কিছু গার্মেন্টস, সোয়েটার ও কৃষিপণ্যভিত্তিক শিল্পকারাখানা করার পরিকল্পনার কথাও বলেন এই প্রার্থী।
তিনি বলেন, “এসব কারখানায় আগামী ৫ বছরে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন, দোয়া করবেন যেন আপনাদের খেদমত করে যেতে পারি।”
নির্বাচিত হলে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ রাজধানীর পাশাপাশি রাজশাহী কর্মচঞ্চল শহরে পরিণত হবে বলেও প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।
গণসংযোগ ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, জাসদ রাজশাহী মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল শেখ, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মিলু, সাধারণ সম্পাদক নওশাদ আলী, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আজিজুর রহমানসহ অন্যরা।
আরো পড়ুন