দুবাই থেকে পণ্য বোঝাই করে চট্টগ্রামে ফিরবে জাহাজটি।
Published : 22 Apr 2024, 01:45 AM
সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর দুবাই বন্দরে নোঙর করা এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকরা আগামী আট দিন সেখানে পণ্য খালাস ও বোঝাইয়ে ব্যস্ত থাকবেন।
রোববার দুপুরে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ভিড়েছে বাংলাদেশি জাহাজটি।
জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামী পাঁচ দিন সেখানে মোজাম্বিক থেকে আনা কয়লা খালাস করবেন তারা।
পরের তিন দিন হরমুজ প্রণালীর নিকটবর্তী আমিরাতের রাস আল খাইমাহর মিনা সাকর বা পোর্ট সাকর হতে চট্টগ্রামের জন্য নিয়ে যেতে অন্য কার্গো বোঝাই করবেন। পাশাপাশি বন্দরের আনুষঙ্গিক কার্যক্রমে ব্যস্ত সময় যাবে তাদের।
তিনি বলেন, জাহাজের ২৩ অফিসার ও নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। তারা দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন।
এর আগে জাহাজের মালিকপক্ষ কবীর স্টিল রি-রোলিং মিলস (কেএসআরএম) বলেছে, কয়লা খালাস করে জাহাজটিতে করে দেশে ফিরবেন ২১ নাবিক, বাকি দুজন আসবেন উড়োজাহাজে।
ক্যাপ্টেন রশীদ বলেন, এমভি আবদুল্লাহ ওমান সাগর পাড়ি দিয়ে শনিবার রাতে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে। জাহাজটি ঘণ্টায় ৯ দশমিক ৩ কিলোমিটার গতিতে চলে রোববার বহির্নোঙরে এসে পৌঁছায়।
জাহাজ পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট মেরিন ট্রাফিক ডটকম জানিয়েছে, জাহাজটি বন্দরে প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় আছে।
১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাবার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয় বলে জানায় মালিকপক্ষ।
এর ৩৩ দিন পর ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি।
১৪ এপ্রিল দুপুরে এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের দেওয়া ফেইসবুক পোস্টের একটি ছবিতে মুক্ত নাবিকদের পাশে অপারেশন আটলান্টার কমান্ডোদের দেখা যায়।
তারপর ১৫ এপ্রিল বিকেলে ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টা মিশন তাদের টুইট বার্তায় এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: