একাত্তরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আল-বদর নেতা চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ১৯৭৩ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে পলাতক।
Published : 16 Jul 2024, 12:20 PM
যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা চালিয়ে যাওয়ার যে সুযোগ পেয়েছেন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মুঈনুদ্দীন, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপভিত্তিক বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠন ও মানবাধিকার গোষ্ঠী।
শনিবার যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়ে যৌথ বিবৃতি দেন তারা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা যুক্তি দেখান যে, যুক্তরাজ্যের আদালতের রায়ে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ে স্বীকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকারকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে যথাযথ আইনি ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয় বিবৃতিতে। এতে আশা প্রকাশ করা হয় যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রত্যাশা পূরণ করবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন
ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম যুক্তরাজ্য শাখার প্রেসিডেন্ট আনসার আহমেদ উল্লাহ, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম নেদারল্যান্ডস শাখার প্রেসিডেন্ট বিকাশ চৌধুরী, নেদারল্যান্ডসের সাবেক সংসদ সদস্য হ্যারি ভ্যান বোমেল, যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবীব, ঢাকাভিত্তিক ‘আমরা একাত্তর’ সংগঠনের সভাপতি মাহবুব জামান, গণহত্যা বিশেষজ্ঞ তাওহীদ রেজা নূর, জেনেভায় ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের’ প্রধান রহমান খলিলুর মামুন, ব্রাসেলসে ‘গ্লোবাল সলিডারিটি ফর পিস’-এর সভাপতি এম এম মুর্শেদ, মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী প্রদীপ কুমার দত্ত, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত আইনজীবী এস এম আব্রাহাম লিংকন।