মালদ্বীপে প্রবাসীদের মৃত্যুর মিছিল যেন বেড়েই যাচ্ছে, আর এর বেশিরভাগই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।
Published : 12 Dec 2024, 12:17 AM
মালদ্বীপে প্রবাসীদের মৃত্যুর মিছিল যেন বেড়েই যাচ্ছে, আর এর বেশিরভাগই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। দেশটিতে একদিনের ব্যবধানে মারা গেলেন আরও দুই বাংলাদেশি।
তারা হলেন মো. খসরু আহমেদ (৫৩) ও মো. ইয়াছিন মিয়া (২২)। খসরুর বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নে। ইয়াছিনের বাড়ি কুমিলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় গোপালনগরে।
বুধবার দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশনের কল্যাণ সহকারী মো. জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “মৃত দুই প্রবাসী রাজধানী মালের পাশের দ্বীপে কাজ করতেন। খসরু আহমেদ বৈধ হলেও ইয়াছিন মিয়া অবৈধভাবে কর্মরত ছিলেন। খসরুর লাশ পাঠানোর সম্পূর্ণ খরচ তার মালিক বহন করেছে।
“অন্যদিকে ইয়াছিন মিয়ার লাশ পাঠানো হয়েছে এখানকার ইনস্যুরেন্স কোম্পানি ও দূতাবাসের সহযোগিতায়। আজ শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দুপুর ১১টায় বাংলাদেশে লাশ পৌঁছলে তার স্বজনরা গ্রহণ করার কথা।”
খসরু আহমেদের বড় ছেলে মো. আবু তাহের মুঠোফোনে জানান, তার বাবা সংসারের অভাব ঘোচাতে ১০ বছর আগে মালদ্বীপে পাড়ি জমিয়েছিলেন। আসছে রমজানে দেশে ফিরবেন বলে কোম্পানি থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি ফিরবেন লাশ হয়ে।
একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তাদের পরিবার দিশাহারা বলে জানান তাহের।
অন্যদিকে ইয়াছিনের আত্মীয় মজিবুর রহমান মুঠোফোনে জানান, পরিবারের হাল ধরতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মালদ্বীপে আসেন ইয়াছিন। তার বেতন দিয়েই চলত দেশে থাকা সংসার।
মালদ্বীপের সিলেট প্রবাসী সংগঠনের সভাপতি আবদুল আল মামুন বলেন, “খসরু আহমেদ মালদ্বীপের ধিগুরা আইল্যান্ডে কৃষিকাজ করতেন। মস্তিষ্কে হঠাৎ করে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত একসপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন থেকে মারা যান তিনি।”
খসরুর লাশ বাংলাদেশে পাঠানোর খরচ তার মালিক বহন করেছেন। তিনি তার কোম্পানি থেকে একমাসের বেতন ৬০ হাজার টাকা এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে ৩ লাখ টাকা পাবেন বলে জানান মামুন।