‘বিএনপিই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করেছে’

“বিএনপি ভয়াবহ নাশকতা করতে পারে, নয়াপল্টনে জনসভা ডাকার দুরভিসন্ধি রয়েছে,“ বলেন সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2022, 06:26 PM
Updated : 4 Dec 2022, 06:26 PM

বিএনপিই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী। 

তিনি বলেছেন, “তারা (বিএনপি) এখন আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চায়, বা জাতীয় সরকার ব্যবস্থা চায়। এটা কোনদিনই আর সম্ভব নয়।” 

রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত ‘নৈরাজ্য-নাশকতা-বিশৃঙ্খলা: উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান বাধা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, “যেকোনো হত্যাকাণ্ড মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। কিন্তু বিএনপি ও এদেশের স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির পিতার হত্যা, শিশু রাসেল হত্যা ও একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানের মতো জনপ্রিয় নেত্রীকে হত্যা করে তারা এদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে।” 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন আসে। কিন্তু বিএনপি অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতায় যেতে চায়। বেশ কিছুদিন যাবৎ তারা অপপ্রচার করছে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে। 

“সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসে বলেছেন, বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই, আর বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।” 

১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ থেকে সরকার পতনের ‘আসল’ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার কথা বলে আসছেন বিএনপি নেতারা। সমাবেশের জন্য দলটিকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থান বরাদ্দ দেওয়া হলেও তারা নয়াপল্টনেই সমাবেশ করতে অনড় অবস্থানে আছেন। 

এ প্রসঙ্গে আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বলেন, “বিএনপি ভয়াবহ নাশকতা করতে পারে, নয়াপল্টনে জনসভা ডাকার দুরভিসন্ধি রয়েছে। তারা কৌশলে বেগম খালেদা জিয়াকে জনসভায় এনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।” 

বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান বলেন, “দেশের তথ্য বিদেশে পাচার করা নিন্দনীয় ও দেশবিরোধী কাজ। বিএনপি বারবার বিদেশীদের কাছে ধরনা দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।“ 

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, “জাতি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপকার। শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশ আজ নিরাপদ। তিনিই সফল রাষ্ট্রনায়ক।” 

বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন, অধ্যাপক ড. বিমান বড়ুয়া, অধ্যাপক ড. রফিক শাহরিয়ার, অধ্যাপক কে এম সাইফুল ইসলাম খান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক রেহান সোবাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার নজরুল ইসলাম, এস এম লুৎফর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক, এইচ এম মেহেদী হাসান। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার, ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. শাহেদ ইমরান, বাকশাল মহাসচিব কাজী জহিরুল কাইয়ুমসহ বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।