শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ তৈরির আহ্বান যুক্তরাজ্যের

বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার।

আসন্ন সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক; আলোচনায় সবপক্ষকে সহিংসতা পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ বৈঠক হওয়ার কথা সামাজিক মাধ্যম এক্স (টুইটার) এ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ব্রিটিশ হাই কমিশন।

বিবৃতির সঙ্গে হাই কমিশনার, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “সংযমী হওয়া, সহিংসতা পরিহার এবং অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য একযোগে কাজ করতে সবপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যুক্তরাজ্য।”

বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর দলটির হরতাল-অবরোধের কর্মসূচির মধ্যে সংঘাত ও হতাহতের ঘটনার মধ্যে হাই কমিশনার ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন।

এদিন সকালে ভোট সামনে রেখে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি আর বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধের মধ্যে আকস্মিকভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

গত শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে প্রথম উত্তেজনা ছড়ায় কাকরাইল মসজিদের সামনে। ওই পথে বায়তুল মোকাররমের সমাবেশমুখী আওয়ামী লীগের কর্মীদের বহনকারী একটি বাসে ইটপাটকেল ছোঁড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা। লাঠিসোটা নিয়েও তেড়ে যেতে দেখা যায় অনেককে।

এসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়; যা পরে ওই এলাকায় একের পর এক সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়। এরপর দুপুর ১টার দিকে সংঘর্ষ কাকরাইল থেকে বিএনপির সমাবেশের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে কাকরাইল, শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।

সংঘর্ষের মধ্যে নিহত হয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ; সংঘাতে প্রাণ গেছে যুবদলের মুগদা থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা শামীম মোল্লার। এছাড়া বিএনপি নেতাকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অনেকেই। এরপরের দুই দিন হরতাল ও অবরোধে আরও প্রাণক্ষয় হয়েছে।

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য যে বক্তব্য দিয়েছে, আগের দিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও ছয় দেশের সঙ্গে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতেও একই রকম কথা বলা হয়েছিল।