গণতন্ত্র বিকাশের পথে দেয়াল তুলেছিল বিএনপি: কাদের

কাদের বলেন, “বিএনপি সরকারে থাকতেও গণতন্ত্রের ক্ষতি করেছিল, বিরোধীদলে গিয়েও তারা গণতন্ত্রের ক্ষতি করেছে।”

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2022, 06:06 AM
Updated : 10 Nov 2022, 06:06 AM

দেশে গণতন্ত্র বিকাশের পথে নানা প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ সেই বাধা দূর করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ‘লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে’।

স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আন্দোলনে গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে, শৃঙ্খল মুক্তি পেয়েছে; কিন্তু গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বাংলাদেশে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে, সেই প্রতিবন্ধকতা, পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্টের পর যে ৩ নভেম্বর, তারপর ২১ অগাস্ট…।”

গণতন্ত্রকে বারবার বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,“১৫ অগাস্টে রাজনৈতিক সম্পর্কের বিভিন্ন দলের যে উঁচু দেয়াল বিএনপি তুলেছিল, সেই পারস্পরিক সম্পর্কের সেই উচু দেয়াল ৩ নভেম্বর আরও উঁচু হল। ২১ অগাস্ট আরও উচ্চতা পেল। এটা তো গণতন্ত্র বিকাশের পথে প্রধান অন্তরায়।”

বৃহস্পতিবার ঢাকার গুলিস্তানের জিরোপয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আমাদের দেশে আরও অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। এখানে সাম্প্রদায়িকতা, আগুন সন্ত্রাস, ২০১৩-১৪ থেকেই বিভীষিকাময়। আমি বলব, বিএনপি সরকারে থাকতেও গণতন্ত্রের ক্ষতি করেছিল, বিরোধীদলে গিয়েও তারা গণতন্ত্রের ক্ষতি করেছে।

“এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণতা, পরিপূর্ণতা দেওয়া এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে।”

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর এরশাদবিরোধী তুমুল আন্দোলনের সময় বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার মুক্তি পাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লিখে রাজপথে নেমে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন যুবলীগকর্মী নূর হোসেন। এর পর থেকে দিনটি ‘নূর হোসেন দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়।

নূর হোসেনকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা কাদের বলেন, “গণতন্ত্র এক চাকার সাইকেল নয়, এখানে অপজিশনও থাকতে পারে; সরকারি দলের রেসপনসিবিলিটি আছে, অপজিশনেরও রেসপনসিবিলিটি আছে। গণতন্ত্র ওভার নাইট ম্যাজিক্যাল ট্রান্সফারমেশন না। পরিবর্তন হয়ে যাবে না।“

বিএনপির উদ্দেশে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “তারা নিজেরা প্রতিজ্ঞা করুক, তারা আগুন-সন্ত্রাস করবে না। সেটা মাঠে বাস্তবায়িত করুক। লাঠি নিয়ে কেন বের হতে হবে? এটা কোন গণতন্ত্র? জাতীয় পতাকা লাঠির সঙ্গে বেঁধে তারা আন্দোলন করবে এটাও তো আরেক সন্ত্রাস। এটা বন্ধ করতে হবে।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য এবিএম রিজাউল কবির কাউছার, মারুফা আক্তার পপি, আনিসুর রহমান, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Also Read: নূর হোসেনকে স্মরণের দিন