বিদেশের একটি ব্যাংকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ‘পাচার করা’ ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান মিলেছে বলে দাবি করেছেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
এই হুইপ বলেছেন, “কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে- ওই ব্যাংকের একাউন্টে যে ভল্টে তারা টাকা রেখেছে, তারেক এবং মামুনের আই কন্ট্যাক্ট ছাড়া সেই টাকা ভল্ট থেকে বের করা সম্ভব নয় বলে টাকাটা এখনও ফেরত আনা যাচ্ছে না।”
রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
খালেদা জিয়ার আরেক ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা ৪০ কোটি টাকা এফবিআইয়ের সহায়তায় ফেরত আনার কথাও বলেন তিনি।
স্বপন বলেন, “তারেক এবং মামুনের আরও টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। শুধু তারেক আর মামুন নয়, বিএনপির অনেক নেতার বিদেশের বিভিন্ন দেশে টাকার হদিস পাওয়া গেছে।
“তদন্ত চলছে, এই কারণে এই মুহূর্তে আমরা এটি সংসদে উপস্থাপন করতে পারছি না। তবে অচিরেই তারেক, মামুনসহ বিএনপির নেতাদের এই সমস্ত পাচারকৃত টাকার তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এবং এই টাকাগুলো অবশ্যই ফিরিয়ে এনে জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করা হবে।”
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিল উল্লেখ করে স্বপন বলেন, “বিএনপির আমলে খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান এবং তার বন্ধু মামুনের লুটপাটের কারণে খাম্বা তারেকের লুটপাটের কারণে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩০০ থেকে ৩২০০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছিল।”