উত্তরার এক মামলায় জামায়াতের আমিরকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১২ সালের এক মামলায় শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2022, 03:52 PM
Updated : 14 Dec 2022, 03:52 PM

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে এবার উত্তরার ১০ বছর আগের এক মামলায় গ্রেপ্তারি রোয়ানা জারি হয়েছে। 

‘সরকারের বিরুদ্ধে গোপন বৈঠকের’ অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে করা এ মামলায় পরপর সাত তারিখে শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী বুধবার তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির এ আদেশ দেন।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) মঙ্গলবার গভীর রাতে শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছিলেন জামায়াত আমির। তিনি তার  ছেলেকে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করে আসছিলেন।

Also Read: জঙ্গি সম্পৃক্ততা: জামায়াত আমির শফিকুর ৭ দিনের রিমান্ডে

Also Read: নতুন জঙ্গি সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক জামায়াত আমির: পুলিশ

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উত্তরার মামলা বাতিলের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করার তথ্য দিয়ে বার বার সময় আবেদন করা হচ্ছিল। বিচারক উচ্চ আদালতের আদেশ চাইলে আসামিপক্ষ তা দেখাতে ব্যর্থ হয়।

“গতকাল গ্রেপ্তার শফিকুরের কারাগারে পাঠানোর মামলার কোনো রেফারেন্স দিয়ে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে না পারায় তার বিরুদ্ধে পরোয়নার এই আদেশ আসে।”

আজাদ রহমার জানান, “আসামিপক্ষ বুধবারেও সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে থাকা এ মামলায় সময় চেয়ে আলাদা আবেদন জমা দেন। বিচারক সময় আবেদন খারিজ করে দেন।” 

২০১২ সালের ২৫ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়িতে ‘সরকারের বিরুদ্ধে গোপন বৈঠক’ করার অভিযোগে জামায়াতের আমিরসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় দ্রুত বিচার আইনে এ মামলা করা হয়। পরে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ওই মামলায় শফিকুর রহমানসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। 

একই আদালতে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে একই রকমের আরও একটি মামলা বিচারাধীন বলে জানান আইনজীবী আজাদ।