আবারও আটকে গেলেন জি এম কাদের

হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত হয়েছে, ফলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে কোনো কাজ করতে পারবেন না তিনি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2022, 01:55 PM
Updated : 30 Nov 2022, 01:55 PM

হাই কোর্টের এক আদেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পদে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন জি এম কাদের, একদিন বাদেই সেই আদেশ স্থগিত হয়ে গেল।

বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পদে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে দেন।

জাতীয় পার্টিতে গৃহবিবাদের মধ্যে দলটিতে থেকে বহিষ্কৃত সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা আদালতে যান। এতে বিচারিক আদালত জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।

তার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে গিয়ে মঙ্গলবার যুগ্ম জেলা জজের আদেশে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ পেয়েছিলেন সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা কাদের।

হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে মৃধা আপিল বিভাগে গেলে চেম্বার বিচারপতি ওই আদেশ স্থগি করে বিষয়টি পরবর্তী শুনানির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

এক প্রশ্নের জবাবে কাদেরের আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামী সোমবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে কার্যতালিকায় শীর্ষে থাকবে মামলাটি। সেদিন পর্যন্ত হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত থাকবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সময়ে জি এম কাদের দলের চেয়ারম্যান হিসাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

মৃধার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই আদেশের পর জি এম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে কোনো কাজই করতে পারবেন না।

Also Read: জাপায় রওশনের আলঙ্করিক পদ, কর্তৃত্বে জি এম কাদের

Also Read: জিএম কাদেরকে চাই, না হলে সংসদ বর্জন: জাপা

Also Read: নাস্তার টেবিলে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক রওশন-কাদেরের

তিনি বলেন, “উনি গঠনতন্ত্র বহির্ভূত কাজ করছেন, সেটা নিম্ন আদালতে দুইপক্ষের শুনানিতে প্রমাণিত হয়েছে। নিম্ন আদালত উনাকে কাজ করার ক্ষেত্রে বারিত করেছে। উনি আপিল ফাইল করেছেন, সেটা জানুয়ারি মাসে শুনানির জন্য নির্ধারিত আছে। সেটা নির্ধারিত থাকা অবস্থায় উনি হাই কোর্টে এসে কীভাবে স্থগিতাদেশ নেন?

“উনি হাই কোর্টে আসতে হলে সেটা শেষ করে আসতে হবে। আপিলটাকে বাইপাস করে হাই কোর্টে আসাটাই সম্পূর্ণভাবে অবৈধ এবং নিয়ম বহির্ভূত।”

জি এম কাদেরের আইনজীবী বলেন, “আমরা চেম্বারে বলেছি, নিম্ন আদালত যে আদেশ দিয়েছে, সেটা ন্যায়বিচারের পরিপন্থি। জেলা জজের আদেশও ন্যায়বিচারের পরিপন্থি। হাই কোর্ট যথাযথ আদেশ দিয়েছে। সুতরাং তা স্থগিত করা উচিত নয়।”

ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হক গত ৩০ অক্টোবর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে জি এম কাদেরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং দায়িত্ব পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। ওই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে কাদেরের করা আবেদন ১৬ নভেম্বর একই আদালত খারিজ করে দেয়।

পরে জিএম কাদের এই আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজের আদালতে আপিল করেন। বিচারক সেই আপিলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানির জন্য ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দেন। ওই শুনানি এগিয়ে আনতে ফের আবেদন করেন জি এম কাদের। গত ২৪ নভেম্বর তা খারিজ করে দেন বিচারক। এরপর হাই কোর্টে আসেন কাদের।