“যত তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করবেন, ততই ভালো,” বলেন তিনি।
Published : 01 Aug 2024, 07:54 PM
সরকার ‘নির্যাতন করেও’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থামাতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেছেন, “আমরা আগেই বলেছি, এই পরিস্থিতি (সরকার) গায়ের জোরে মোকাবিলা করতে পারবেন না। বাংলাদেশের টোটাল ফোর্স নামানো হয়েছে মুভমেন্ট যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে। থামাতে তো পারেননি। সরকার সবরকম নির্যাতন করবার পরেও এই আন্দোলন বন্ধ করতে পারেনি।
“যে বাধার বিন্ধ্যাচল ছিল, যে ভয়ের পাহাড় ছিল, যে ভয়ের চাদর ছিল, ওগুলো চলে গেছে। যেভাবে লড়াই করছে শিক্ষার্থীরা, যেভাবে লড়াই করছে শিক্ষকরা, গুণীজন, মুরুব্বিরা, আইনজীবীরা, সাংবাদিকরা…সবাই যেরকম করে নেমেছে তাতে এই সরকারের ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বেজেছে।”
ঢাকার তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে গণতন্ত্র মঞ্চের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন মাহমুদুর রহমান মান্না।
আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নতুন সমন্বয়কারী মান্না বলেন, “এ আন্দোলন বাড়ছে, আরও বাড়বে। গণতন্ত্রমঞ্চ তার সঙ্গে শুরু থেকে ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকারের পরাজয় না হয়।”
সরকারের পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, “আমরা শুরু থেকে বলেছি, তোমরা অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছ, নির্বাচন করছ না। অতএব নির্বাচন না করে ক্ষমতায় থাকতে গেলে আরও বল প্রয়োগেই তোমাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। একদম চূড়ান্ত নিষ্ঠুরতা-হত্যাকারীর জায়গায় পৌঁছাবার আগেই ক্ষমতা থেকে চলে যাও।
“আমাদের আজকে একই আবেদন, এখনও হয়ত সময় আছে। আমি বলছি, এখনও হয়ত সময় আছে পদত্যাগ করো। তারপরে দেশ কীভাবে চলবে, সেটা এদেশের জনগণ বুঝবে। তোমরা জনগণের দুশমনে পরিণত হয়েছ, তোমরা জনগণের জন্য কিছু করতে পারবে না। বোধ-বুদ্ধি যদি এখনও থাকে, তাহলে জনগণের কথা শুনে, দেয়ালের কথা শুনে পদত্যাগ করো। যত তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করবেন, ততই ভালো।”
চলমান আন্দোলন এখন কেবল ‘কোটা আন্দোলনে সীমাবদ্ধ নেই’ মন্তব্য করে মান্না বলেন, “এটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন। এই আন্দোলন এখন সরাসরি এসব হত্যার বিচার চায়, ওই সমস্ত মন্ত্রী যারা গুলির নির্দেশ দিয়েছেন, উসকে দিয়েছেন ছাত্রলীগকে, তাদের পদত্যাগ চায় দল থেকে এবং সরকার থেকে।
“খোদ প্রধানমন্ত্রী সমস্ত হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়ে যাতে জনগণের কাছে ক্ষমা চায়, সেজন্য তারা (শিক্ষার্থীরা) দাবি করেছে। এগুলো মানতে হবে।”
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম ও জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।