ছাত্রলীগ নেতাদের দেখতে ডিএমপি কমিশনার কেন হাসপাতালে, প্রশ্ন বিএনপির ফারুকের

“আমাদের বহু নেতাকর্মীকে রাজপথে আপনার বাহিনীর সদস্যরা পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে, কোমড় ভেঙে দিয়েছে, মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে,” বলেন তিনি।

শাহবাগ থানায় মারধরে আহত ছাত্রলীগ নেতাদের দেখতে ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক কেন হাসপাতালে গেলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বুধবার এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “ডিএমপির কমিশনার সাহেব, গতকাল আপনি কী করে একটি রাজনৈতিক দলের সংগঠনের নেতাদের হাসপাতালে দেখতে যান? আজকে কী কারণে প্রশাসন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে, কর্মকর্তা হয়ে আপনি একটি পারিবারিক বিষয় নিয়ে মারামারিতে যারা আহত হয়েছেন, দাঁত পড়ে গেছে…তাদের দেখতে যান।

“আর আপনার স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে যখন অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছেন, একদিনের জন্যও কি তাদের পরিবারের কাছে সমবেদনা পাঠিয়েছেন। পাঠান নাই। আমাদের বহু নেতাকর্মীকে রাজপথে আপনার বাহিনীর সদস্যরা পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে, কোমড় ভেঙে দিয়েছে, মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে… দিনের পর দিন হাসপাতালে, একটা দিনের জন্যও প্রশাসন বা ডিএমপির কোনো কর্মকর্তা দেখতে যান নাই।”

সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন ও রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে বেদম মারধর করা হয়। এডিসি হারুনের মারধরে আহত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈমকে দেখতে মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতা ফারুক বলেন, “সময় বেশি নাই। অবস্থা খারাপ। মাত্র এখন এডিসি হারুন (হারুনুর রশিদ) ও সানজিদা (সানজিদা আফরিন) খেলা। আমাদের ছেলে-মেয়েরা গুলি খাবে, আর পারিবারিক কলহের কারণে যারা আজকে দোষী সাব্যস্ত হবেন কিনা জানি না…তাদেরকে আপনি (ডিএমপি কমিশনার) হাসপাতালে দেখতে যান। এটা কি গণতন্ত্রের নমুনা। এসব খেলা বন্ধ করতে হবে।”

জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে এক ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পলিত হয় প্রেস ক্লাবের সামনে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, নবীন দলের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, উলামা দলের শাহ নেছারুল হক সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)