বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরসহ ১৬৪ জন এ মামলার আসামি।
Published : 08 Nov 2023, 05:24 PM
পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক পারভেজকে হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের জামিন চেয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার আবেদন পাওয়ার পর বিচারক মো. আছাদুজ্জামান শুনানির জন্য আগামী ২৯ নভেম্বর দিন ঠিক করে দিয়েছেন।
আদালতের পেশকার ফয়েজ আলম ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস পাল বিডিনিউজকে এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর আমীর খসরু ও স্বপনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়েছিল। সেদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে পেতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. তরীকুল ইসলাম।
সেদিন শুনানি শেষে আদালত আমীর খসরু ও স্বপনকে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠায়।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ সদস্য আমিরুল হক পারভেজকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়।
আসামিদের মধ্যে আরও আছেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, নিপুণ রায়, আমিনুল হক, হাবিবুন নবী খান, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, এস এম জিলানী, শামসুজ্জামান দুদু, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, তাবিথ আউয়াল, রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, ইকবাল হোসেন শ্যামল, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক, রাশেদ ইকবাল খান, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, কাজী রওনাকুল হক শ্রাবণ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার পল্টন থানার কালভার্ট রোডের পূর্বপ্রান্তে বাদীসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বরত ছিলেন। বেলা পৌনে ৩টার দিকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ‘হাজার হাজার’ নেতাকর্মী তাদের উপর হামলা করে। ইটপাটকেলের আঘাতে এডিসি (ডিবি-ওয়ারী জোন) ইলিয়াছ হোসেন, কনস্টেবল আমিরুল হকসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হন।
সেসময় আমিরুল হক ‘আত্মরক্ষার্থে’ ডিআর টাওয়ারে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে রাস্তার উপর ফেলে এলোপাতাড়ি ইট, লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। তাতে আমিরুল গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকেন। তখন পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আমিরুলকে পরে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ মামলায় গত ৩০ অক্টোবর মীম রেজা ওরফে শিন্টা শামীম ও সুলতান নামের দুইজনকে ৭ দিনের রিমান্ডে পায় পল্টন থানা পুলিশ। পরদিন শহিদুল্লাহ মুসুল্লী নামের আরেকজনকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
এর বাইরে কনস্টেবল আমিরুল হত্যার ঘটনায় শুক্রবার সুনামগঞ্জ জেলা যুবদল সভাপতি আনসার উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব।
পুরনো খবর
পুলিশ হত্যা: বিএনপির আমীর খসরু ও স্বপন ৬ দিনের রিমান্ডে
পুলিশ হত্যা: গ্রেপ্তার দুজন ৭ দিনের রিমান্ডে