বিএনপি মহাসচিবসহ ১৬৪ জন এ মামলার আসামি।
Published : 30 Oct 2023, 07:45 PM
বিএনপির সমাবেশে ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক পারভেজকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজনকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার সন্ধ্যায় শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আলী হায়দার।
আসামিরা হলেন- গাইবান্ধার পলাশবাড়ী যুবদলের আহ্বায়ক শামীম রেজা ওরফে শিন্টা শামীম এবং সুলতান নামের আরেক ব্যক্তি।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার এসআই শাহ আলম জানান, এ দিন আসামিদের ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই সালাহ উদ্দিন।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী জিল্লুর রহমান রিমান্ডের বিরোধিতা করেন। প্রয়োজনে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাদের ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
কনস্টেবল পারভেজ হত্যায় দুইজন গ্রেপ্তার, ‘উচ্চ নিম্ন’ কাউকে ছাড় নয়: ডিএমপি
পুলিশ হত্যার আসামি ফখরুলসহ ১৬৪ জন
বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ সদস্য নিহত
পুলিশ সদস্য আমিরুল হত্যার ঘটনায় শনিবার গভীর রাতে পল্টন থানায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার পল্টন থানার কালভার্ট রোডের পূর্বপ্রান্তে বাদীসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বরত ছিলেন। বেলা পৌনে ৩টার দিকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ‘হাজার হাজার’ নেতাকর্মী তাদের উপর হামলা করে। ইটপাটকেলের আঘাতে এডিসি (ডিবি-ওয়ারী জোন) ইলিয়াছ হোসেন, কনস্টেবল আমিরুল হকসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হন।
সেসময় আমিরুল হক ‘আত্মরক্ষার্থে’ ডিআর টাওয়ারে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে রাস্তার উপর ফেলে এলোপাতাড়ি ইট, লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। তাতে আমিরুল গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকেন। তখন পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আমিরুলকে পরে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যার পরদিন গাইবান্ধা থেকে শামীমকে এবং ঢাকার ডেমরা থেকে সুলতানকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয় পুলিশের তরফ থেকে।