‘আওয়ামী লীগের গড়া ডিজিটাল বাংলাদেশকে’ যে এখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হচ্ছে, সে কথা তুলে ধরে এর বিরুদ্ধে কীভাবে লড়তে হবে, সেই কৌশল ছাত্রলীগকে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সবাইকে এ বিষয়ে ‘বিশেষ নজর দেওয়ার’ পরামর্শ দেন তিনি।
বিভিন্ন বিষয়ে ‘গুজব’ ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, “স্যোশাল মিডিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ভরে গিয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তার ‘উপযুক্ত’ জবাব দিতে হবে।
“জবাব দেওয়ার বেশি কিছু না। ওরা যখন আমাদের বিরুদ্ধে যেটা লেখে, তার জবাব দেওয়া লাগবে না। ওদের অপকর্মটা যদি সেখানে কমেন্টে ছেড়ে দেওয়া যায়, তাহলেই ওরা ওটা বন্ধ করে দেবে। এটাই হচ্ছে সব থেকে ভালো।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওরা যা বলবে... বিএনপি ক্ষমতায় থেকে কী করেছে, তাদের অগ্নিসন্ত্রাস, তাদের খুন, তারা কাকে কাকে মেরেছে, কী করেছে, কই কই তাদের চুরি, ভোট চুরি, ডাকাতি এগুলো তুলে ধরলেই তো যথেষ্ট। কাজেই আমার মনে হয় ছাত্রলীগ এই কাজটা করতে পারবে।”
সবাইকে গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “এটাই আমার সকলের কাছে একটা অনুরোধ যে যারা এইসব মিথ্যা কথা বলে মানুষকে তারা ভাওতাবাজি দিয়ে বিভ্রান্ত করতে চায়, এটা একটা শ্রেণি আছে। তারা এটা করবেই আমি জানি। আর মিথ্যা কথায় তারা পারদর্শী।”
ছাত্রলীগ কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “মেধাবী ছাত্ররা, তাদেরকে কিন্তু প্রত্যেকেই যারা মেধাবী, তাদের জীবন জীবিকার ব্যবস্থা যেমন নিজেরা করতে হবে, কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে সেখানে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিতে হবে। কারণ আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হলে দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থাও দরকার।
“কাজেই প্রত্যেকেই বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা যে যেখানে পারদর্শী, সেইভাবে শিক্ষা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজনীতিও যেমন দরকার, আবার সেইভাবে আমাদের প্রশাসন বা কারিগরি সব ধরনের দরকার। ছাত্রলীগ যেন প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের মেধার বিকাশের একটা সুযোগ পায় এবং সেই কাজকর্ম করতে পারে সেটাই আমি চাই।”