হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দলের ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যান হিসেবে ছোট ভাই জি এম কাদেরের নাম ঘোষণা করলেও রওশন এরশাদ বলেছেন, কাউন্সিলের মাধ্যমেই জাতীয় পার্টির আগামী নেতৃত্ব নির্ধারণ হবে।
Published : 16 Apr 2019, 11:09 PM
মঙ্গলবার সকালে গুলশানে জাতীয় ছাত্র সমাজের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় একথা বলেন জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান রওশন।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতির সমস্যা নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা করিয়ে আসা এরশাদ এখন ‘আগের চেয়ে ভালো আছেন’ বলেও জানান তিনি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের ভাই জিএম কাদের দলের কো-চেয়ারম্যানের পদে আছেন। আর এরশাদের স্ত্রী রওশন আছেন জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান পদে। দলের নেতাদের অনেকেই এই দুজনকে ধরে দুই শিবিরে ভাগ হয়ে আছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এরশাদ তার ভাই জি এম কাদেরকে দলের ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন।
এর তিন মাস না পেরোতেই গত ২২ মার্চ জি এম কাদেরকে ‘অযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে দলের কো চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেন এরশাদ। কেড়ে নেওয়া হয় জাতীয় সংসদে দলের উপনেতার পদও। উপনেতার পদে আসীন হন এরশাদপত্নী রওশন এরশাদ।
এরপর আবার সপ্তাহ না ঘুরতেই জিএম কাদেরকে কো চেয়ারম্যানের পদ ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাকে আবারও দলের ‘ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যান’ ঘোষণা করেন এরশাদ।
মঙ্গলবারের সভায় রওশন এরশাদ বলেন, “জাতীয় পার্টি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভ্রান্তি নেই, কোনো বিভেদ নেই।”
তবে কাউন্সিলের মাধ্যমেই দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণের যে কথা তিনি বলেছেন, তা এরশাদের ওই ঘোষণায় তার মত না থাকার বিষয়টিকেই প্রকাশ করে।
রওশন এরশাদ বলেন, “খুব শিগগিরই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।”
কাউন্সিলের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, দলের চেয়ারম্যান এরশাদের শারীরিক অসুস্থতার কারণে সহসা সেটা সম্ভব না।
এদিকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়ায় এ বিষয়ে জি এম কাদেরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।