নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীকে ‘জোর’ করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
Published : 15 Dec 2015, 05:55 PM
মঙ্গলবার ইসি'র আইন শাখার উপ সচিব মহসিনুল হকের নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠন করা হয় বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "চাটখিলে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু বিএনপি’র প্রার্থীর পক্ষ থেকে জোর করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ কারণে ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান শাহনেওয়াজ।
এর আগে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন চাটখিল পৌরসভায় দলীয় প্রার্থীর অভিযোগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর সোমবার সন্ধ্যায় জমা দেন।
চাটখিলে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছিলেন ওই পৌরসভায় সাবেক মেয়র মোস্তফা কামাল।
তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ রোববার তার মনোয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ উল্লাহকে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচত ঘোষণা করে ইসি।
এ ঘটনার পর রোববার রাতেই নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে দাবি করা হয়, তাদের প্রার্থীকে অপহরণের পর জোর করে সই নিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করানো হয়েছে।
বিএনপি ও অন্য প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ বলেন, “লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে বিবেচনাযোগ্য হলেই আমলে নেওয়া হচ্ছে। রিটার্নিং কর্মকর্তারাও বিধিলঙ্ঘনের বিষয়ে দায়ীদের জরিমানা করছেন।”
তবে ‘ঢালাও’ অভিযোগে যাচাই না করে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।
এবার সারা দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে। রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সীমা পের হওয়ার পর সোমবার প্রতীক পেয়েছেন প্রার্থীরা।
ইতোমধ্যে ছয় পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ছয় মেয়র প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।