মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার ‘অভিযোগ না পাওয়ায়’ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনাকে ‘স্বাভাবিক’ বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।
Published : 14 Dec 2015, 06:40 PM
সোমবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।
অবশ্য রোববার রাতে এক ‘জরুরি’ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি অভিযোগ করেছে, নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভায় দলের মেয়র প্রার্থীসহ অন্য একজনকে ‘অপহরণ করে’ তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করানো হয়েছে। এর আগেও বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের ‘বহু প্রার্থীকে অস্ত্র দেখিয়ে সরিয়ে দেওয়ার’ অভিযোগ করা হয়েছে।
আসন্ন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত ছয় মেয়র প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। কিছু কাউন্সিলর প্রার্থীও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
উপজেলা ভোটে কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত হলো না; পৌর ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে- এমন প্রেক্ষাপটে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয় ‘অস্বাভাবিক’ কিনা- জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ বলেন, “আমাদের কাছে মনোনয়নপত্র জমায় বাধা দেওয়ার বিষয়ে সরাসরি কোনো অভিযোগ আসেনি।
“অনেক এলাকায় কেউ বেশি জনপ্রিয় হতে পারে, কেউ প্রার্থী হতে অনীহা প্রকাশ করতে বা কাউকে ছাড় দিতে পারে। সেক্ষেত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঘটতে পারে।”
এবার পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘটনা ‘অস্বাভাবিক নয়’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কেউ অভিযোগ না করলে বা অভিযোগ না পেলে, অস্বাভাবিক কিছু না ঘটা পর্যন্ত আমাদের কাছে এটা স্বাভাবিক।”
কমে গেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার এক প্রার্থী
ইসি সচিবালয় থেকে সকালে পৌর ভোটে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন এমন জানানো হলেও বিকালে এ সংখ্যা কমে ছয়ে নেমেছে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, ছেঙ্গারচর পৌরসভায় একক প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও আদালতের আদেশে আরেকজন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
“এখন পিরোজপুর, মাদারগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া, ফেনী, পরশুরাম ও চাটখিল পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ছয় মেয়র প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন,” বলেন তিনি।
তারা হলেন- নোয়াখালীর চাটখিলে মোহাম্মদ উল্লাহ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আহম্মদ হোসেন মীর্জা, পিরোজপুরে হাবিবুর রহমান মালেক, জামালপুরের মাদারগঞ্জে মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির এবং ফেনী সদরে হাজী আলাউদ্দিন ও পরশুরামে নিজামউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী সাজেল।
বিকাল ৫টার পর ছেঙ্গারচর পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হেকমত আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ পৌরসভায় মেয়র পদে রফিকুল আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। কিন্তু দুপুরে বিএনপি প্রার্থী সারোয়ার আবেদীন আদালতের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।”