অভিযোগ গঠনের কোনো উপাদান না থাকায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয় আদালত।
Published : 27 Jan 2025, 05:54 PM
মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সহকারী (এপিএস) মিয়া নূরুদ্দীন আহম্মেদ অপুকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিমের আদালত অভিযোগ গঠন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এ দিন মামলার অভিযোগ গঠনের দিন নির্ধারণ করা ছিল।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য ছিল। এসময় আসামি পক্ষে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অভিযোগ গঠনের কোনো উপাদান না থাকায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন অপু।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চার দিন আগে মতিঝিলে নাফিজ ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ ও ইউনাইটেড করপোরেশনে অভিযান চালিয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম আলী হায়দারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই কোম্পানি থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
পরে হায়দারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পল্টনের হাউজ বিল্ডিং রোডের বায়তুল খায়ের টাওয়ারের সিটি মানি এক্সচেঞ্জ থেকে আরও ৫ কোটি টাকা জব্দ করা হয়।
এছাড়া গুলশানে অপুর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আমেনা এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫০ টাকাসহ জয়নাল আবেদীন ও আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সেসময় র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, হায়দারের মামা মাহমুদুল হাসান আসামি অপুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর জন্য বিদেশ থেকে দেড়শ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে আনা হয়, তার মধ্যে সাড়ে ৩ কোটি টাকা অপুর কাছে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-৩ এর নায়েব সুবেদার ইব্রাহিম হোসেন মতিঝিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন। তদন্ত করে সাতজনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৩ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেন সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইমের পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন। তারপর থেকেই বিভ্নি কারণে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে।