অর্থ পাচারের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) মিয়া নূরুদ্দীন আহম্মেদ অপুর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 03 Nov 2020, 11:25 PM
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দিয়েছে।
রুল শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মানিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হলে হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন অপু।
“আদালত প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেছিলেন। সেই রুলটি খারিজ করে দিয়েছেন হাই কোর্ট। ফলে তাকে জেলেই থাকতে হচ্ছে।”
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে মতিঝিল থেকে আট কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় অপুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
শরীয়তপুর-৩ (ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জ-গোসাইরহাট) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী অপু ভোটের প্রচারের সময় সংঘর্ষে আহত হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে থেকে ভোটের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। তার চার দিন আগে মতিঝিলে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ ও ইউনাইটেড করপোরেশনে অভিযান চালিয়ে ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম আলী হায়দারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
পরে হায়দারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পল্টনের হাউজ বিল্ডিং রোডের বায়তুল খায়ের টাওয়ারের সিটি মানি এক্সচেঞ্জ থেকে আরও ৫ কোটি টাকা জব্দ করা হয়।
এছাড়া গুলশানে অপুর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আমেনা এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫০ টাকাসহ জয়নাল আবেদীন এবং আলমগীর হোসেন নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সে সময় র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, হায়দারের মামা ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী অপুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর জন্য বিদেশ থেকে দেড়শ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে আনা হয়, তার মধ্যে সাড়ে ৩ কোটি টাকা অপুর কাছে পাঠানো হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি অপু এক সময় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
দণ্ড নিয়ে যুক্তরাজ্যে থাকা তারেক কয়েক বছর আগে লন্ডন থেকে সৌদি আরবে ওমরাহ পালনে গেলে তার সঙ্গে তখনও অপুকে দেখা গিয়েছিল।