ঢাকার নয়া পল্টনে পুলিশি হামলা, দলীয় কার্যালয়ে অভিযান এবং নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।
প্রতিবাদ কর্মসূচি হিসেবে বৃহস্পতিবার সারাদেশে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ হবে বলে বুধবার রাতে বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়, যাতে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি হামলাকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘোষিত কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনে শাখাগুলোকে আহ্বান জানানো হয়।
সভা থেকে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি এবং পুলিশ প্রশাসনকে দমনপীড়ন বন্ধের আহ্বানও জানানো হয়।
এই সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর শনিবার ঢাকায় সমাবেশের বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা হয়নি।
ওই সমাবেশকে কেন্দ্র করেই গত কয়েকদিন ধরে পুলিশ ও বিএনপির টানাপড়েন চলছে। বিএনপি নয়া পল্টনে সেই সমাবেশ করতে চাইলেও তাতে রাজি নয় পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ইতোমধ্যে বলেছেন, বিএনপিকে কোনো সড়কেই সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।
সমাবেশ ঘিরে বুধবার নয়া পল্টনে জড়ো হওয়া বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এরপর পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে দলটির কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাসহ তিনশ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। তার মধ্যে রয়েছেন আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।
কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে এভাবে নেতাদের ধরে নেওয়ার ঘটনাটি গণতন্ত্রের উপর আঘাত বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি।
দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বে প্রিন্স
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন। তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করায় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি মহাসচিব রাতে এই অফিস সংক্রান্ত আদেশ দিয়েছেন।
রিজভী মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত প্রিন্স দপ্তরের দায়িত্ব সামলাবেন।