বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য হাছান মাহমুদের।
Published : 10 Oct 2022, 07:13 PM
বিএনপি ‘উল্টাপাল্টা স্বপ্ন’ দেখলে খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফেরত পাঠানোর কথা ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
‘১০ ডিসেম্বরের পর খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে’- আমানের এই বক্তব্য নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “দেশ পরিচালনার বিষয়ে আমানউল্লাহ আমান সাহেবরা যদি উল্টাপাল্টা স্বপ্ন দেখতে থাকেন, তাহলে সরকারকে ভাবতে হবে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বদান্যতা দেখিয়েছেন, সেটির আদৌ প্রয়োজন আছে, না কি তাকে আবার কারাগারে পাঠাতে হবে।
“আমান উল্লাহ আমান সাহেব সম্ভবত এ ধরনের কোনো কিছু স্বপ্নে দেখেছেন। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃপা-বদান্যতায়ই বেগম খালেদা জিয়া কারাগারের বাইরে আছেন।”
দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে থাকা খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি নিয়ে এখন তার বাসায় রয়েছেন। এদিকে বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে।
মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামালকে নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “বেগম সুলতানা কামালের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনি একজন মানবাধিকারকর্মী, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী এবং তার অনেক বক্তব্যের সাথে আমি নিজেও একমত নই।
“তার বেশিরভাগ বক্তব্যই সরকারের বিরুদ্ধে। তাই বলে তাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে কথা বলা শালীনতা ও শিষ্টাচার বিবর্জিত। রিজভী সাহেব সুলতানা কামালের ব্যাপারে যেভাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যেভাবে তাকে আওয়ামী লীগের ‘দালাল’ বলেছেন, কখন যে রিজভী সাহেব মির্জা ফখরুল সাহেবকেও আওয়ামী লীগের দালাল বলে বসেন, আমি সেই শঙ্কার মধ্যে আছি।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘পাকিস্তানই ভালো ছিল’ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, “মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে তার অর্থ দাঁড়ায়- বাংলাদেশ হওয়াটা সঠিক হয় নাই। অর্থাৎ, তার মতে জিয়া মেজর থাকলেই ভালো ছিল। কারণ বাংলাদেশ সৃষ্টি না হলে জিয়া তো মেজরই থাকত, মেজর জেনারেল হতে পারত না।
“আমি মনে করি এই বক্তব্যের মাধ্যমে মির্জা ফখরুল সাহেব আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সবার প্রতি অবমাননা করেছেন এবং তার বাংলাদেশে রাজনীতি করার অযোগ্য হওয়া উচিত। অন্য কোনো দেশ হলে তার বিরুদ্ধে নানা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতো এবং তিনি সেই দেশে রাজনীতি করার অযোগ্য হতেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এ নিয়ে যেভাবে কথাবার্তা ও বিশ্লেষণ হওয়া দরকার ছিল, সেটি আমি দেখতে পাচ্ছি না।”
দেশে গণতন্ত্র নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনার জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “বন্দুকের নলের আগা থেকে যাদের জন্ম, অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দলের জন্ম, যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন করেছিল, যে রাজনৈতিক দল তাদের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাতিল করে দুর্নীতিবাজদের, দুর্নীতির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্তদের রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছে, তারা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন মানুষ হাসে।”