ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ৩০তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ আবার বদলেছে। পরিবর্তিত ঘোষণা অনুযায়ী ৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে এই সম্মেলন।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর এই সম্মেলনের তারিখ ঠিক হয়েছিল। তবে পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ৮ ডিসেম্বর সম্মেলনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
রোববার সেই সিদ্ধান্তও পরিবর্তিত হল।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিডিউল না থাকার কারণে ৮ ডিসেম্বেরর পরিবর্তে ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।”
ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিপ্লব বড়ুয়া জানান, সম্মেলন সোহরাওয়াদী উদ্যানেই হবে।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনও আগামী ২৪ ডিসেম্বর হওয়ার ঘোষণা রয়েছে।
ছাত্রলীগের সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ছাড়াই শেষ হয় ওই সম্মেলন।
এর আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি চূড়ান্ত করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
পরে চাঁদাবাজির অভিযোগে সমালোচনার মুখে থাকা শোভন ও রাব্বানীকে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
তখন ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রথম সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
পরে ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা।
সেই সম্মেলনের এক বছর পর ২০১৯ সালের ৩১ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।