আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের কারণে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হল।
Published : 17 Nov 2022, 09:02 AM
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের ৩০তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে যুব মহিলা লীগের সম্মেলন পিছিয়ে গেছে ১৫ ডিসেম্বর। তবে মহিলা লীগের সম্মেলন আগের সূচি অনুযায়ী ২৬ নভেম্বরই হবে।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগ এবং ৯ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের কারণে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হল।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিডিউল না থাকার কারণে ৩ ডিসেম্বেরর পরিবর্তে ৮ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের এবং ৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১৫ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।”
আগামী ২৯ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; ফিরবেন ৩ ডিসেম্বর। সে কারণে গত মঙ্গলবার গণভবনে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি ৩ ডিসেম্বরের বদলে অন্য কোনো তারিখে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর বিপ্লব বড়ুয়া জানিয়েছিলেন, তিনটি সম্মেলনই হবে সোহরাওয়াদী উদ্যানে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি সম্মেলনেই উপস্থিত থাকবেন।
এরপর আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন বসবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর।
ছাত্রলীগের সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ছাড়াই শেষ হয় ওই সম্মেলন।
এর আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি চূড়ান্ত করেন।
পরে চাঁদাবাজির অভিযোগে সমালোচনার মুখে থাকা শোভন ও রাব্বানীকে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
তখন ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রথম সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
পরে ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের সভাপতি ও সাধারাণ সম্পাদক করা হয়।
এর আগে সম্মেলনের এক বছর পর ২০১৯ সালের ৩১ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের প্রথম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৪ সালের ৫ মার্চ। তখন নাজমা আক্তারকে সভাপতি ও অপু উকিলকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
২০১৭ সালের ১৭ মার্চে সংগঠনটির দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি পদে নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অপু উকিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনঃনির্বাচিত হন।
আর ২০১৭ সালের ৪ মার্চ সম্মেলনের মাধ্যমে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক হন মাহমুদা বেগম।
তার আগের সম্মেলন হয়েছিল ২০০৩ সালের ১২ জুলাই।
ওই সম্মেলনে আশরাফুন্নেসা মোশাররফ সভাপতি ও ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা সাধারণ সম্পাদক হন। পরে পিনু খান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন।
পুরনো খবর