ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর সম্মেলন ২ ডিসেম্বর, ঢাবিতে ৩ ডিসেম্বর

আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনের আগেই ঢাকার এ তিন ইউনিটের সম্মেলন সারা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2022, 09:37 AM
Updated : 21 Nov 2022, 09:37 AM

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের আগেই ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলন হবে।

আগামী ২ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মিলিতভাবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্মেলন এবং ৩ ডিসেম্বর অপরাজেয় বাংলার সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনের সূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন ও প্রস্তুতি জানাতে এক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসে এ তথ্য জানান।

আগামী ৮ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং ৯ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশনে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন হবে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব পাবে ছাত্রলীগ।

২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে আসেন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, তার সাধারণ সম্পাদক হন গোলাম রাব্বানী। নেতৃত্ব পাওয়ার ১০ মাস পর ২০১৯ সালের ১১ মে তারা ৩০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা করেন।

এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ওই বছর ১৪ সেপ্টেম্বর শোভন ও রাব্বানীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

তখন ওই কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি তাদের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এদিকে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর আর দুই বছর অতিবাহিত হলেও সব ইউনিটে কমিটি দিতে পারেননি জয়-লেখক। গত তিন বছরে তারা ছাত্রলীগের ১২১টি ইউনিটের মধ্যে বিভিন্ন জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মেডিকেলসহ ৭৯টি ইউনিটের কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন, এর মধ্যে ৩৭টি ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন পেয়েছে।

ছাত্রলীগের যেসব ইউনিটে কমিটি নেই, তারা কীভাবে সম্মেলনে অংশ নেবে তা জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা। জবাবে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, “জাতীয় সম্মেলনের জন্য প্রত্যেকটি ইউনিটের আলাদা আলাদা প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। প্রত্যেক ইউনিট থেকে সম্মেলনের ডেলিগেট ও কাউন্সিলর নির্ধারণ করার জন্য আমাদের উপকমিটি রয়েছে।

“যেখানে কোনো ধরনের কোনো কমিটি নাই, সেখান থেকেও যেন তারা ছাত্রলীগের সম্মেলনে বৈধভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সম্মেলনকে সফল করার জন্য আমরা সকল ব্যবস্থা করব।”

যেসব ইউনিটে কমিটি নেই, সম্মেলনের আগে সেখানে কমিটি করা হবে কিনা– এমন প্রশ্নে লেখক বলেন, “নতুন কোনো কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সম্মেলনকে সফল করতে যতটকু সাংগঠনিক কার্যক্রম প্রয়োজন, ততটকুই আমরা করব।

“সেখানে যদি কোনো ইউনিটের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা লাগে, আমরা অবশ্যই ঘোষণা করব। সেখানে যদি কোনো জেলার কাউন্সিলর ডেলিগেট যদি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে করা লাগে, সেটাও আমরা করব।”

সম্মেলন সামনে রেখে সম্প্রতি জয় ও লেখক ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করেন ‘সংবাদ বিজ্ঞপ্তির’ মাধ্যমে। এক্ষেত্রে ‘অনিয়মের’ অভিযোগ করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতা।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সংবাদ সম্মেলনে জয় বলেন, “বিভিন্ন সময় যে পদ বাণিজ্যের অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। অর্থের বিনিময়ে আমরা কোনো ইউনিটের কমিটি দিইনি। আমরা বার বার বলেছি, কেউ যদি পদ বাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে, আমরা সেই শাস্তি মাথা পেতে নেব।”

অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

Also Read: ছাত্রলীগের সম্মেলন পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর