Published : 08 May 2024, 09:28 PM
উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার মতে ধান কাটা ও ঝড়বৃষ্টি কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে।
ভোটকে ঘিরে বড় কোনো হানাহানি ও প্রাণহানি না হওয়া তার স্বস্তির আরেক কারণ।
বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভোট শেষে সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী না দিলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতারাই বেশিরভাগ বিজয়ী হতে যাচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
কাদের বলেন, “নির্বাচন কমিশনের জানানো ৩০-৪০ ভাগ উপস্থিতি, এটা সন্তোষজনক। আমরা মনে করি টার্নআউট সন্তোষজনক, প্রাণহানি ছাড়া একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।
“প্রশাসন খুব দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে, দল থেকেও নেত্রীর নির্দেশে সবাই যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে সে জন্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।”
গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের পর দেশে আবার বেজেছে ভোটের বাদ্য। স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে প্রথম ধাপে নির্বাচন কমিশন তফসিল দিয়েছিল ১৫২টি উপজেলায়। তবে বিরোধী দলের বর্জনের মধ্যে কিছু এলাকায় প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া এবং কিছু এলাকায় ভোট স্থগিতের কারণে শেষ পর্যন্ত ভোট দিয়েছে ১৩৯টি উপজেলা ভোটাররা।
এই উপজেলাগুলোতে এবার কোনো দলীয় প্রার্থী ছিল না। আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়ে কাউকে প্রতীক দেয়নি, জাতীয় বা স্থানীয়ভাবে কাউকে সমর্থনও জানানো হয়নি। বিএনপি যথারীতি ভোট বর্জন করেছে। তবে তাদের অন্তত ২৭ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে লড়াই করেছেন।
জাতীয় পার্টি কেবল চারটি উপজেলায় প্রার্থী দিয়েছে। এছাড়া জাতীয় পার্টি (জেপি) দুই জন, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের প্রার্থী একজন প্রার্থী ছিল, তবে তারা কেউ আলোচনায় ছিলেন না।
বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের মত এই নির্বাচন বর্জনেও দলের কর্মী সমর্থক ও ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এর মধ্যে দিনভর ভোটার উপস্থিতি ছিল কম।
দিন শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়তে পারে।
সবশেষ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ ভোট হয় পাঁচ ধাপে ২০১৯ সালে। সেবার সব মিলিয়ে পাঁচ ধাপে গড়ে ভোট পড়ে ৪১ শতাংশের বেশি।
তবে এই নির্বাচনে সহিংসতার হার আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় বেশ কম। প্রচারেও সেভাবে সংঘাত হয়নি, ভোটের দিন ছোটখাট কিছু অনিয়ম ছাড়া সার্বিকভাবে পরিস্থিতি ছিল শান্তিপূর্ণ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দল যে বক্তব্য রেখেছে সেটা হাস্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেকের আশঙ্কা ছিল খুনোখুনির; রক্তাক্ত অবস্থার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে। কিন্তু এই নির্বাচনে দেশের কোথাও কোনো প্রাণহানির ঘটনা নেই। কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।