“মৃত হরিণগুলো কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। আর ভেসে আসা ১৭টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।”
Published : 30 May 2024, 11:49 AM
বাগেরহাটের সুন্দরবনের আরও ১৫টি হরিণ ও একটি শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ।
বুধ ও বৃহস্পতিবার সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী এলাকা থেকে ভেসে আসা মৃত ওই হরিণগুলো উদ্ধার হয় বলে খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে এ নিয়ে সুন্দরবনের মোট ৫৬টি বণ্যপ্রাণীর মৃত্যু হল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মিহির কুমার দো বলেন, “গত চারদিনে ৫৪টি হরিণ এবং দুটি শুকর মিলিয়ে সুন্দরবনের ৫৬টি বণ্যপ্রাণীর মৃতদেহ আমরা পেয়েছি।
“মৃত হরিণগুলো কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। আর ভেসে আসা ১৭টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।”
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: সুন্দরবনে মিলল ২৬ হরিণের মৃতদেহ
এ বন কর্মকর্তা বলছেন, “ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারে সুন্দরবনের সব নদীখাল উপচে বনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। এই জোয়ারের উচ্চতা ছিল দশ ফুটের ওপরে।
“জোয়ারের পানি সুন্দরবনে গহীণে উঠে যাওয়ায় হরিণগুলো সাঁতরে কূলে উঠতে না পেরে মারা গেছে বলে ধারণা করছি। ওই পানি দেখে আগেই সুন্দবনের বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর আশঙ্কা করছিলাম।“
রেমালের আঘাতে সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বনবিভাগের ফরেস্ট স্টেশন অফিস, ক্যাম্প ও ওয়াচ টাওয়ারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মিহির কুমার দো জানিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনের ভেতরে বনভিাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম ওয়্যারলেস টাওয়ারও। মিষ্টি পানির পুকুর নিমজ্জিত হয়েছে লবণাক্ত পানিতে।
মিহির বলছেন, “বনের অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়াসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার ওপরে।”