জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় তত্ত্বাবধায়ক সংকটের সমাধান হবে?

সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে শোনা যাচ্ছে জাতিসংঘের নাম। আর আলোচনা নিয়ে এই সম্ভাবনার কথাটি এসেছে খোদ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর কাছ থেকে।

আমীন আল রশীদআমীন আল রশীদ
Published : 8 June 2023, 12:28 PM
Updated : 8 June 2023, 12:28 PM

বিচারকদের অপসারণ/অভিশংসন-সম্পর্কিত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় নিয়ে যখন রাজনীতির মাঠে অনেক জল ঘোলা হলো এবং একজন সাবেক প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছাড়তে হলো,সেই আলোচনা ও তর্ক-বিতর্কের মধ্যে এই গুঞ্জনটিও ছিল যে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানসম্বলিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়টি রিভিউ হতে পারে। অর্থাৎ যদি রিভিউতে রায়টি বাতিল হয় তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরতে পারে।

সেরকম সম্ভাবনা ও রাজনৈতিক দোলাচলের ভেতরেই এলো আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে মাঠের রাজনীতিতে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আলোচনার সম্ভাবনার বিষয়টি—যার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে শোনা যাচ্ছে জাতিসংঘের নাম। আর এই সম্ভাবনার কথাটি এসেছে খোদ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর কাছ থেকে।

গত ৬ জুন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ১৪ দলের জনসভায় তিনি বলেছেন, ‘প্রয়োজনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের জন্য আলোচনার দরজা খোলা আছে বলেও তিনি মনে করেন।’

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে এবং ১৯৯৬ সালে সংবিধানে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান যুক্ত করার আন্দোলনের সময়েও বিদেশি মধ্যস্থতার চেষ্টা হয়েছিল। যদিও ওইসব মধ্যস্থতা বা আলোচনায় সংকটের সমাধান হয়নি। বরং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তৎকালীন বিরোধী দলের দাবি আদায় হয়েছিল রাজপথে তীব্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আর ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপি। ফলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখেও যে বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপরতা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি এবং সংকট সমাধানে জাতিসংঘের মধ্যস্থতার খবর আসছে—তাতেও শেষমেষ দেশের প্রধান দুই দলের মধ্যে কোনো ঐক্য হবে কি না—সেটি বিরাট প্রশ্ন। যদি না হয় তাহলে সমাধান কি রাজপথে? সেই প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে একটু পেছনে ফেরা যাক।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপি অনঢ় ছিল—যে বিধানটি এর তিন বছর আগে ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে বাতিল হয়ে যায়। ফলে তখন নামে তত্ত্বাবধায়ক না হলেও অন্তর্বর্তী বা এরকম ভিন্ন কোনো নামে এমন একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যায় কি না, যেটি সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে—সেই দাবিটি রাজনৈতিক দল তো বটেই, নাগরিক সমাজের একটি অংশের তরফেও ছিল।

এরকম পরিস্থিতিতে, অর্থাৎ বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের লক্ষ্যে মধ্যস্থতা করার জন্য ঢাকায় আসেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। তিনি প্রধান দুটি দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনাও করেন। এমনকি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন।

জাতিসংঘের নিবিড় তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচন হবে বলেও তখন আলোচনা হয়। তারানকো জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। কিন্তু বিএনপির যে প্রধান দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সেটি ক্ষমতাসীনরা মানতে রাজি হয়নি। ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমে সেই তথ্য রয়েছে।

তার পরের ঘটনাপ্রবাহ সবার জানা। নির্বাচনের আগে একটি অন্তর্বর্তী বা ছোট পরিসরে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল। তখন বিএনপি সংসদে থাকলেও তারা এই সরকারে তাদের কোনো প্রতিনিধি দেয়নি। এমনকি তারা ওই নির্বাচন বয়কট করে। তার মানে সংকট সমাধানে বিদেশি মধ্যস্থতা বা দূতিয়ালি কোনো কাজে আসেনি।

স্মরণ করা যেতে পারে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে চুরানব্বই, পঁচানব্বই ও ছিয়ানব্বই সালের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী অভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মোট ৯৬ দিন হরতাল, অবরোধ ও অসহযোগ কর্মসূচি পালন করে। এই ইস্যুতে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তথা সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতার জন্য তখন কমওয়েলথ মহাসচিবের বিশেষ দূত স্যার নিনিয়ান স্টিফেন ১৯৯৪ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকায় আসেন। তিনি প্রায় মাসব্যাপী উভয় দলের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় সংলাপ করেন। সংলাপের এক পর্যায়ে তিনি একটি ফর্মুলা দেন। এতে স্যার নিনিয়ান সাংবিধানিক কাঠামোর আওতায় নির্বাচনের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের কথা বলেন—যেখানে তিনি বলেন, ওই অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারি দলের ৫ জন এবং বিরোধী দলের ৫ জন মন্ত্রী থাকবেন। বাকি একজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তি মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন যার ওপর স্বরাষ্ট্র, সংস্থাপন এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর ভার ন্যস্ত থাকবে। কিন্তু স্যার নিনিয়ানের এই প্রস্তাবে ক্ষমতাসীন বিএনপি সম্মতি জানালেও বিরোধী দল সেটি মানতে রাজি হয়নি। বরং তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অন্য কোনো ফর্মুলা মানবে না বলে জানিয়ে দেয়। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সমঝোতার ওই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যায়।

এরপর প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমেদও একটি ফর্মুলা দেন। কিন্তু সরকারি দলের অনঢ় অবস্থানের কারণে সে চেষ্টাও ব্যর্থ হয় এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলো রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে এবং সেই আন্দোলনে বাধ্য হয়ে সরকার সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। একটি বিতর্কিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপি পুনরায় ক্ষমতায় আসে এবং অতি সংক্ষিপ্ত সময়ের সংসদে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী এনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান যুক্ত করে।

কিন্তু ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলেও ১৯৯৮ সালেই সংবিধানের এই ত্রয়োদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের ওপর দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ ২০০৪ সালের ৪ অগাস্ট রিটটি খারিজ করে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ও সংবিধানসম্মত উল্লেখ করে রায় দেন।

২০০৫ সালে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করেন বাদীরা। ২০১১ সালের পহেলা মার্চ আপিল বিভাগে এর ওপর শুনানি শুরু হয় এবং ১০ দিন শুনানি শেষে ৬ এপ্রিল আদালত বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। শুনানিতে তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেলসহ অধিকাংশ অ্যামিকাসকিউরি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। তবে কেউ কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগের বিধান পরিবর্তন করে অন্য কোনো গ্রহণযোগ্য ও দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগের বিধান করার সুপারিশ করেন। ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন আপিল বিভাগ। মূলত এই রায়ের আলোকে সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটিও সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটি বাদ দেয়ার সুপারিশ করে—যা সংসদ গ্রহণ করে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য সম্মানজনক না হলেও দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতার কারণে এই ব্যবস্থার বিকল্প আছে কি না—সেটি বিরাট প্রশ্ন। কেননা কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে, এমনটা অধিকাংশ মানুষই বিশ্বাস করতে চান না। তাছাড়া সাধারণ মানুষের বিরাট অংশ এবং অধিকাংশ রাজনৈতিক দলও এটা বিশ্বাস করতে চায় না যে, নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক সরকারের অধীনে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে এবং কোনোরকম প্রভাবমুক্ত থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবে।

প্রয়াত সাংবাদিক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ মিজানুর রহমান খান তাঁর একটি বইতে  লিখেছেন, ‘নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি ক্রমবর্ধিষ্ণু মতবাদ বলা যায়। কেবলমাত্র নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য পৃথিবীর দেশে দেশে, এমনকি এ উপমহাদেশেও দূর অতীতকাল থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আকাঙ্ক্ষা প্রবলভাবে অনুভূত হয়েছে। এখনও হচ্ছে। তবে এটা ঠিক যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখাটা কী হবে, তা নিয়ে মতভেদের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। কিন্তু সর্বোপরি, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আকাঙ্ক্ষা বোধগম্য এবং এ প্রত্যাশা হওয়া উচিত সর্বজনীন।’(সংবিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক, ১৯৯৫, পৃষ্ঠা ১৬৪)।

বাস্তবতা হলো, ১৯৯৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের যে অবস্থান ছিল, একই ইস্যুতে এখন বিএনপির অবস্থানও তা-ই। ১৯৯৪-৯৫ সালে বিএনপি যেসব যুক্তিতে নির্বাচনকালীন একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের বিরোধিতা করেছিল, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও একই যুক্তিতে অর্থাৎ এটি সংবিধানসম্মত নয় বলে এর বিরোধিতা করছে। তার মানে একই ইস্যুতে একটি দলের অবস্থান দুই সময়ে ভিন্ন।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে চরিত্র এবং দলগুলোর মধ্যে যে পারস্পরিক অবিশ্বাস ও অনাস্থা, তাতে অভিজ্ঞতা বলছে, সংলাপে বড় কোনো সমস্যার সমাধান হয় না। বরং আন্দোলনের মাঠ যাদের দখলে থাকে, ভোটের ফলাফলও আসে তাদের ঘরে। ফলে এখন যে প্রশ্নটি সামনে আসছে তা হলো, যদি শেষমেষ জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং মাঠের রাজনীতিতে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মধ্যে বৈঠক হয়ও, তাতেও সমস্যার সমাধান হবে কি না? কেননা, বিএনপির দাবি স্পষ্টত দুটি। ১. সরকারের পদত্যাগ এবং ২. এমন একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, যেটির প্রধান হবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কেউ। এ দুটি দাবি মানতে গেলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।

যে পরিস্থিতিতে ১৯৯৬ সালে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান যুক্ত করা হয়েছিল, সেই পরিস্থিতি কি এ মুহূর্তে দেশে বিদ্যমান রয়েছে কিংবা সেরকম বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলার মতো সক্ষমতা কি বিএনপির আছে? কিংবা সরকারের ওপর কি এমন কোনো চাপ আছে যার কারণে তারা বিদেশিদের মধ্যস্থতায় এমন কোনো দাবি মেনে নেবে যার ফলে তাদের পুনরায় সরকার গঠন করা অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে? নাকি অন্য কিছু ঘটবে? এসব প্রশ্নের চট করে উত্তর দেয়া বা পূর্বাভাস দেয়া কঠিন। তবে যা কিছুই ঘটুক না কেন, যাতে অন্তত দেশ ও দেশের মানুষ বিপদে না পড়ে, সে বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যেমন দায়িত্ব আছে, তেমনি বিরোধী দলগুলোরও। কারণ দিন শেষে দেশটা সবার। সবার উপরে দেশ সত্য—এই সত্যটা মানতে পারলে অনেক সংকটেরই সমাধান করা সহজ। তখন আর বিদেশি দূত বা মধ্যস্থতাকারীরও প্রয়োজন হয় না।