অর্থনীতি-সংক্রান্ত ভাবনা: বাকি রয়ে গেল কিছু বলিতে

যেসব জাতি, সরকার বা সমাজ এখনও ব্লকচেইন বাস্তবায়িত করা দূরে থাক, ভাবতেও রাজি নয়, তারা পিছিয়ে পড়তে বাধ্য, ঠিক যেভাবে গুগলের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে ইয়াহু, অ্যাপলের তুলনায় পিছিয়ে পড়ে ধ্বংসের মুখে পড়েছিল নোকিয়া, ধ্বংস হয়ে গেছে কোডাক, একটিমাত্র কারণে এবং তা হচ্ছে সময়ের দিকনির্দেশনা মেনে নিয়ে কার্যকর এবং আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করেনি এই সব কোম্পানি।

শিশির ভট্টাচার্য্যশিশির ভট্টাচার্য্য
Published : 30 May 2023, 12:52 PM
Updated : 30 May 2023, 12:52 PM

এক। প্রশ্ন করার দুঃসাহস

গত এক বছরে অর্থনীতি নিয়ে খান দশেক প্রবন্ধে যেসব প্রশ্ন আমি করার চেষ্টা করেছি, সেগুলোর বেশিরভাগ আমার নয়। অস্ট্রিয়া স্কুলের অর্থনীতিবিদেরা এবং তাদের আধুনিক সাগরেদ লেবাননের অর্থনীতিবিদ সাইফুদ্দিন আম্মুস প্রমুখরা ওইসব প্রশ্ন করেছেন তাঁদের মতো করে। তাঁদের তথ্য এবং বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে আমি আমার মতো করে বাংলায় প্রশ্নগুলো করছি, এই মাত্র।

দুই। মুদ্রাস্ফীতি বনাম সুদ/লাভ

২০২১-২২ সালে বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতির হার কমপক্ষে ৭% (বলা হচ্ছে অন্তর্জালে)। আসল মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ কত তা বলা কার্যত অসম্ভব। ধরে নেওয়া যাক, ১০%। তাই যদি হয়, তবে ব্যাংক বা সিন্দুকে রাখা আপনার আজকের ১০০ টাকা বছর ঘুরতেই হয়ে যাবে ৯০ টাকা। ব্যাংক যদি ৪% হারে সুদ বা লাভ দিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রেও আপনি কমপক্ষে ৬% টাকা হারাচ্ছেন।

সীতাকুণ্ড কলেজে আমার ব্যবস্থাপনার শিক্ষক শহীদুল্লাহ স্যারের বক্তৃতা এখনও কানে বাজে: ‘কমার্স মিন্স ক্রেডিট, ক্রেডিট মিন্স ট্রাস্ট!’ আমার এই শিক্ষক চার দশক পরে এখন নিউমার্কেটে আমার প্রতিবেশী। তিনি সুদ খান না, সুদ দেন না, সঞ্চয়পত্রে টাকা বিনিয়োগ করেন না, ব্যাংক থেকে ঋণ নেন না। যতই আপনি বোঝান না কেন, দীর্ঘদিনের অভ্যাসবশত পৃথিবীতে বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ আমার এই প্রিয় শিক্ষকের মতো ভাবেন যে, ব্যাংক তাঁকে সুদ দিচ্ছে।

স্বর্ণমুদ্রার যুগে মুদ্রাস্ফীতি বছরে ১%-এর বেশি হওয়া কঠিন ছিল। তখন সুদ খেয়ে পাপ করা সম্ভব ছিল বটে। কিনসীয় অর্থনীতিতে রিজার্ভবিহীন ফিয়াট মানি সুদ খাওয়ার পাপ থেকে ধার্মিকদের মুক্তি দিয়েছে, তাদের অজান্তে। তবে আগামীতে যদি বিটকয়েন জাতীয় ক্রিপ্টোমুদ্রা চালু হয়, তখন মুদ্রাস্ফীতির হার শূন্য হয়ে আবার সুদ খাওয়ার পাপ শুরু হতে পারে।

তিন। নেপোয় মারে দৈ

সমাজে তিন ধরনের মানুষ আছে। প্রথম ধরনের মানুষ, এরাই সংখ্যাগুরু, এরা আয় করে শ্রেফ খাবার কেনার জন্য। দ্বিতীয় ধরনের মানুষ, এদের সংখ্যা খুব বেশি নয়, এরা আয় করে মাসের বিলগুলো (বিদ্যুৎ-গ্যাস-বাড়িভাড়া...) দেবার জন্য। তৃতীয় ধরনের মানুষ, এদের সংখ্যা সবচেয়ে কম, এরা আয় করে অর্জিত অর্থ পুনর্বিনিয়োগ করে অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য, অর্থাৎ টাকার ডিমে তা দিয়ে টাকার অনেকগুলো বাচ্চা ফুটানোর জন্য। প্রথম ধরনের মানুষ চিরকাল গরীব থেকে যায়, দ্বিতীয় ধরনের মানুষ গরীব হয়ে যায়, তৃতীয় ধরনের মানুষ ধনী থাকে বা ধনী হয়ে ওঠে।

গরীব আর মধ্যবিত্তের পকেটের টাকা জমা হয়েই ধনীর সম্পদ ফুলেফেঁপে উঠে। এ কাজে সমাজ বা বাজারেরও সম্মতি আছে। দরিদ্রকে বঞ্চনা, মধ্যবিত্তকে প্রবঞ্চনা এবং ধনীকে এই দুই কাজে প্ররোচনা এবং প্রণোদনা দেওয়া কিনসীয় বা পুঁজিবাদী অর্থনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য। বর্তমান সমাজে দুর্নীতিবাজ এবং ঋণখেলাপীরা সবচেয়ে বুদ্ধিমান, কারণ আপনার-আমার পরিশ্রমের প্রতীক নগদ টাকাটা তারা নগদ ভোগ করে নেয় জীবৎকালে দেশে কিংবা বিদেশে পাচার করে, ক্ষমতাবানদের ছত্রছায়ায় অবশ্যই।

ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে এবং নিজের মুখ রক্ষা করতে সরকার তার টাকার গাছ ঝাড়া দেয়, অর্থাৎ দেদার টাকা ছাপাতে থাকে। এর ফলে সৃষ্টি হয় মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতির ফলে আপনার-আমার পরিশ্রম ও সঞ্চয় চলে যায় ওরা এগারো জনের পকেটে। গরীব আর মধ্যবিত্ত কী করতে পারে? উত্তরটা ওমর খৈয়াম দিয়েছিলেন বটে (কান্তিচন্দ্র ঘোষের অনুবাদ): ‘নগদ যা পাও হাত পেতে নাও, বাকির খাতা শূন্য থাক। দূরের বাদ্য শুনে কী লাভ মাঝখানে যে বেজায় ফাঁক।’ কিন্তু বহু যুগের অভ্যাস বা সংস্কারবশতঃ সঞ্চয় না করে আপনি পারবেনই না। মৌমাছির মতো ফুলে ফুলে ঘুরে কষ্ট করে ভবিষ্যতের জন্য যে মধুটুকু আপনি সঞ্চয় করবেন, মৌয়াল এসে চাক ভেঙে ওই মধু নিয়ে যাবে। মৌমাছিরা আবার চাক বাঁধা শুরু করে, ঠিক যেভাবে আপনিও সঞ্চয় করতে শুরু করেন। মৌমাছি অবোধ প্রাণী বলে নিরুপায়, জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও আপনি নিরুপায়। ব্যষ্টিক/সামষ্টিক অর্থনীতি এভাবেই চলছে গত পঞ্চাশ বছর ধরে, দেশে কিংবা বিদেশে।

চার। ভূতের রাজায় দিল বর!

ভূতের রাজা মানুষকে তিন খান বর দিয়েছে: ভাষা, ধর্ম এবং মুদ্রা। তিনটিরই প্রকারভেদ আছে- ছয় হাজার ভাষা, বহু হাজার ধর্ম, কত শত রকম টাকা।

এক ভাষায় যা ‘কলম’, অন্য ভাষায় তা ‘পেন’, আরেক ভাষায় তা ‘লেখনি’ ইত্যাদি। /ক/, /ল/, /ম/ তিনটি ধ্বনি নির্দিষ্ট ক্রমে বসলে একটি লিখনযন্ত্র দ্যোতিত করে। একটি ধ্বনি বদলে দিলেই অর্থ পালটে যায়: ‘মলম’। ধ্বনিগুলোর ক্রম বদলে দিলেও অর্থ পাল্টে যায়: ‘কমল’ কিংবা কোনো অর্থই থাকে না: ‘মকল’, ‘লকম’ কিংবা ‘লমক’। যে বস্তুর নাম ‘কলম’, তার নাম ‘চেয়ার’ হতেই বা কী সমস্যা হতো? পুরো ব্যাপারটা যুক্তিহীন, হাস্যকর নয় কি?

ধর্মের মতো সমস্যা আছে সংস্কৃতিতেও। বছর সব সময় ৩৬৫ দিনে হতো না। ১২ মাসেও বছর হতো না। ইউরোপে দশ মাসে বছর ছিল, ডিসেম্বর (‘ডিসেম’ = দশম) বা দশম মাসে বছর শেষ হতো। নিউ ইয়ার কেন শীতকালেই হতে হবে? হিজরি অব্দে নিউইয়ার যেকোনো ঋতুতে হতে পারে এবং সেটা এমন কি খারাপ? নিউ ইয়ারে একটা বৈচিত্র্য তো আসে! চাণক্যের সময় মাসকে দশ দিনের তিনটি উপবিভাগে (‘দশাহ’?) বিভক্ত করা হতো। সাত দিনের সপ্তাহের জায়গায় দশ দিনের ‘দেকাদি’ চালু হয়েছিল ফরাসি বিপ্লবের সময়ে। কী সমস্যা হয়েছিল? চমৎকার ঘুরছিল পৃথিবী বরাবরের মতোই।

কত কিছু যে টাকা ছিল: নারিকেল, লবণ, কড়ি, পাথর, স্বর্ণ, রৌপ্য, তামা, দস্তা, কাগজ। একটা কাগজের ওপর ১০০ টাকা লিখে দিল রাজা বা সরকার, মানুষ মুখ বুঝে তাই বিশ্বাস করল। আগামীকাল সকালে সরকার যদি বলে, ১০০ টাকার নোট বাতিল, তবে টয়লেট পেপারের চেয়েও দাম কমে যাবে একেকটি ১০০ টাকার নোটের। নোটের উপর লেখা থাকে: ‘চাহিবামাত্র বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে’। চাহিয়া দেখিলেই বুঝিবেন, কথাটা ডাহা মিথ্যা।

পাঁচ। ক্রিপ্টোমুদ্রা ও ব্লকচেইন

বর্তমান পৃথিবীর কোনো দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র নেই, প্রতিটি দেশে চলছে কমবেশি ভালো বা খারাপ গোষ্ঠীতন্ত্র। ‘গণতন্ত্র’ বলতে যা বোঝায়, ‘গভর্নমেন্ট বাই, অফ, ফর দ্য পিপল’ শতভাগ বাস্তবায়িত করতে ব্লকচেইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ব্লকচেইনে প্রতিটি লেনদেনের জন্য অন্তর্জালে একটি ব্লক লেখা হবে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো ব্লকের তথ্য যাচাই করে ওই ব্লকে সম্মতি দিলে ব্লকটি অন্য ব্লকের সঙ্গে যুক্ত হবে। ব্লকচেইন প্রযুক্তি এমনভাবে রচিত হয়েছে যেকোনো ব্লকে ভুল হলে ব্লকটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে।

ঘুণে ধরা এবং পশ্চাৎপদ যে প্রশাসন ও আমলাতন্ত্র দেশে দেশে জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে, তা অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে। নগদ, বিকাশ, ব্যাংকের কাজ কমতে কমতে এসব প্রতিষ্ঠান এক সময় পরিত্যাজ্য ঘোষিত হবে। বহু সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজনীয়তা হারাবে। সরকারের খরচ এবং কলেবর উভয়ই এত বেশি কমে যাবে যে দেশ চালাতে কম টাকার প্রয়োজন হবে। তখন সরকার ইচ্ছা করলে আয়কর, বিক্রয়কর ও ভ্যাট কমিয়ে দিতে পারবে। সরকারের ঠিক কত টাকার প্রয়োজন, সেটাও অবশ্য ব্লকচেইনেই জানতে পারবে, সরকার এবং জনগণ উভয়েই। বাজেট ঘোষণা করার প্রয়োজন থাকবে না, ব্লকচেনই বলে দেবে, কাম্য বাজেট কেমন হওয়া উচিত।

মানুষ সবসময় প্রশাসনসহ জীবনের সবকিছু বিকেন্দ্রীকরণের স্বপ্ন দেখে। ব্লকচেইনের চেয়ে বৃহত্তর বা উন্নততর বিকেন্দ্রীকরণ আর কী হতে পারে? শুধু তাই নয়, ‘পুঁজিবাদ’ নামে যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু আছে বলে দাবি করা হয় বর্তমান পৃথিবীতে, সেটা কিন্তু আসলে পুঁজিবাদ নয়, নামেমাত্র পুঁজিবাদ, কারণ বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় পুঁজি কখনোই স্বাধীনভাবে, সরকারের কমবেশি খবরদারি ছাড়া স্থানান্তরিত হতে পারে না। ব্লকচেইন পুঁজিকে স্বাধীন করবে এবং ব্লকচেইনের ফলে পৃথিবীতে প্রকৃত পুঁজিবাদ প্রতিষ্ঠিত হবে। ব্লকচেইনভিত্তিক একটি সমাজ কমবেশি সমাজতান্ত্রিক হতেও বাধা নেই।

ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে রক্তমাংসের মানুষ খুব বেশি সিদ্ধান্ত নেবে না, প্রমাণের ভিত্তিতে মেশিন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা রোবোট বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত নেবে এবং ওই সিদ্ধান্ত কেউ বদলাতেও পারবে না। মানুষ যে ভুলগুলো করে (মানুষ যে মেশিনের চেয়ে বেশি ভুল করে, সেটা প্রমাণিত) সেগুলো হবে না। তবে যেসব ক্ষেত্রে মানুষের ইতিবাচক ভূমিকা অপরিহার্য, সেসব ক্ষেত্রে আপাতত পেশাদার মানব-সন্তানদের বহাল রাখা যেতেই পারে।

ব্লকচেইন প্রযুক্তি আজ আর কল্পনার বিষয় নয় মোটেই। এস্তোনিয়া, চিলি, জর্জিয়া, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভেনেজুয়েলা, সুইডেন, ব্রাজিলসহ পৃথিবীর অনেক দেশে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর কিংবা একটিমাত্র জেলা বা প্রদেশে। যুক্তরাজ্যে ব্লকচেইন ব্যবহৃত হচ্ছে শিক্ষার্থী-ঋণ ব্যবস্থাপনায়, কোনো কোনো দেশে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিব্যবস্থাপনায়। বাংলাদেশ সরকারও ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোমুদ্রায় অনাগ্রহী নয়।

যেসব জাতি, সরকার বা সমাজ এখনও ব্লকচেইন বাস্তবায়িত করা দূরে থাক, ভাবতেও রাজি নয়, তারা পিছিয়ে পড়তে বাধ্য, ঠিক যেভাবে গুগলের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে ইয়াহু, অ্যাপলের তুলনায় পিছিয়ে পড়ে ধ্বংসের মুখে পড়েছিল নোকিয়া, ধ্বংস হয়ে গেছে কোডাক, একটিমাত্র কারণে এবং তা হচ্ছে সময়ের দিকনির্দেশনা মেনে নিয়ে কার্যকর এবং আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করেনি এই সব কোম্পানি। ব্লকচেইন প্রযুক্তি গ্রহণ না করা আর দেশের তথ্য বাইরে চলে যাবে এই ভয়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন এক সরকারের সাবমেরিন কেবলে যুক্ত না হওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় একই মানসিকতার প্রতিফলন।

ক্রিপ্টোমুদ্রার ওপর সরকারের বিন্দুমাত্র নিয়ন্ত্রণ নেই, থাকার কথা নয়। ক্রিপ্টোমুদ্রাভিত্তিক অর্থনীতির ওপরও সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকার কথা নয়। সরকার কিছু কাজ অবশ্যই ভালো করে, কিন্তু শ্রেষ্ঠতম সরকারের উন্নততম কাজটিতেও সময়, অর্থ ও পরিশ্রম ও মনোযোগের অপচয় হয়। ক্রিপ্টোমুদ্রাভিত্তিক অর্থনীতি ও ব্লকচেইনভিত্তিক প্রশাসন সরকারের আনাড়িপনার অর্গলমুক্ত হয়ে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারবে।

বাংলাদেশ যদি ‘টাকা’ নামে একটি গুপ্তমুদ্রা চালু করে, ক্ষতি কী? এই ‘টাকা’ বর্তমানে প্রচলিত টাকার ভিত্তিমুদ্রা বা রিজার্ভ মানিও হতে পারে।

আশা করি, ক্রিপ্টোমুদ্রা এবং ব্লকচেইন মানুষকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করে অবশেষে মুক্ত করবে। ‘যুক্ত করোহে সবার সঙ্গে মুক্ত করো হে বন্ধ!’