প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারত সক্রিয় ভূমিকা রাখুক, সেটা বাংলাদেশের অন্যতম চাওয়া। আছে অভিন্ন নদ-নদীর পানি বণ্টনের মতো দীর্ঘমেয়াদী অমীংমাসিত সমস্যার সমাধান।

চিররঞ্জন সরকারচিররঞ্জন সরকার
Published : 5 Sept 2022, 03:03 PM
Updated : 5 Sept 2022, 03:03 PM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে চারদিনের ভারত সফরে রয়েছেন। এই সফরকে ঘিরে জনমনে গভীর কৌতূহল ও আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। কারণ ভারতের সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রয়েছে অসংখ্য অমীমাংসিত বিষয়। যেসব বিষয়ের সুরাহা হলে উভয় দেশই লাভবান হবে। যদিও তা মোটেও সহজ নয়। যুগের পর যুগ ধরে দ্বিপক্ষীয় অনেক সমস্যা ঝুলে রয়েছে। তবে দেশের সরকার প্রধানের সফরে এসব সমস্যার জট কিছুটা হলেও খুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেবল নিকট প্রতিবেশীসুলভ নয়। এর চেয়েও অনেক বেশি। দুই দেশের মানুষের ইতিহাস, ভূগোল, ভাবাবেগ, মূল্যবোধ ও স্বার্থের এক অপূর্ব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে এক বিশেষত্ব দান করেছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও ভারতের সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল অনন্য। যদিও কালের বিবর্তনে মুক্তিযুদ্ধকালীন উভয় দেশের সরকার ও জনগণের মধ্যে গড়ে উঠা অপূর্ব সমন্বয় ও সমঝোতা সন্দেহ ও অবিশ্বাসের চোরাগলিতে হারিয়ে গেছে। তারপরও উভয় দেশের অভ্যন্তরীণ অনেক ঘটনা এখনও পরস্পরকে প্রভাবিত করে। এখনও ভারতে ধর্মীয় সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটলে বাংলাদেশে এর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। নানা বৈরিতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ বেড়াতে, পড়তে ও চিকিৎসা নিতে ভারতে যায়। বিভিন্ন খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য, পোশাক, টিভি সিরিয়াল, সিনেমা, সঙ্গীত ইত্যাদির জন্য বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি ভারতের উপর নির্ভরশীল।

গত দেড় দশকে উভয় দেশের সম্পর্কে অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু সম্পর্কটা ঠিক ‘সন্তোষজনক’ পর্যায়ে উপনীত হতে পারেনি। এর জন্য ভারতের ‘দাদাগিরি’ ও ‘অপরিণামদর্শী রাষ্ট্রীয় নীতি’ (যেমন নাগরিকত্ব বিল) যেমন দায়ী, বাংলাদেশের কূটনৈতিক অদক্ষতা ও ‘ভারতবিরোধী প্রচারণা’-র রাজনীতিও কিছুটা দায়ী। যদিও এসবের ঊর্ধ্বে উঠে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে উভয় দেশের সরকার ও জনগণের স্বার্থ ও আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয় মূলত ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর। তখন ভারত-বিরোধী রাজনীতি পরিচর্যা করায় সরকারিভাবে আনুষ্ঠানিকতা বজায় থাকলেও জনগণের পর্যায়ে এসে দুই দেশের মধ্যে এক বড় ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়, যা পরবর্তীকালে দুই দেশের সম্পর্ককে কখনো কখনো প্রায় বৈরিতার পর্যায়ে ঠেলে দেয়।

১৯৯১ সালে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কারের এক বড় সুবিধাভোগী হয়ে ওঠে ভারত এবং বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা এক নতুন মাত্রা সংযোজন করে। দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের পণ্য ভারতের বাজারে প্রবেশাধিকারের বিষয়টি দুই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের এজেন্ডায় প্রধান বিষয় হিসেবে উঠে আসে। তবে নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়ে ধারাবাহিকতার বাইরে তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বরং ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবৈধ অভিবাসন ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদদানের অভিযোগ উত্থাপন করে।

১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টনের বিষয়ে ৩০ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ ক্ষেত্রে ভারতের কেন্দ্রে রাজনৈতিক পরিবর্তন ও কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের নতুন বিন্যাসকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের নতুন সরকার পানির হিস্যা অর্জনে মোটামুটি সফল হয়। পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জ্যোতি বসুর অবদানের কথা এ ক্ষেত্রে স্বীকার করতেই হয়। এই সময়ে নিরাপত্তা বিষয়েও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে চুক্তি ভারতের প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছাড়া সম্ভব হতো না বলে অনেকেই মনে করেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোট সরকারের জয়লাভের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়নে একটি নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। বাংলাদেশে মহাজোট সরকারের জোরালো সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান ভারতের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ উত্থানের সম্ভাবনাকে শক্ত হাতে দমন করায় বাংলাদেশে ভারতবিরোধী শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে, যা ভারত তার স্বার্থের অনুকূল বলে মনে করে এবং এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে নৈতিক সমর্থন ও পরামর্শ দেয়। বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে ভারত তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার এক দুর্লভ সুযোগ লাভ করে। এ ছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে করিডর বা ট্রানজিটের সুবিধা লাভও ভারতের স্বার্থের অনুকূল বলে বিবেচিত হয়।

২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়। দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অনেক বিষয়ে মতৈক্য পোষণ করেন। সেই প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবিরোধী কাজ এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার জন্য ট্রানজিটের সুবিধা এবং ভারতকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুবিধাদানে রাজি হয়। সীমান্ত সমস্যা সমাধানেও নেতারা রাজি হন। বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নয়নেও তাঁরা নতুন ক্ষেত্র নিয়ে মনোযোগী হন। বাংলাদেশ কর্তৃক ভারত থেকে বিদ্যুতের আমদানি এবং ভারত কর্তৃক এক মিলিয়ন ডলারের ঋণদান উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর অন্যতম। এখানে লক্ষণীয় যে বাংলাদেশ কূটনৈতিক দর-কষাকষিতে সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়ার নীতি গ্রহণ করে।

উল্লিখিত বিষয়গুলো ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৬-৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার কাঠামোগত চুক্তি স্বাক্ষর; ১৯৭৪ সালের স্থলসীমানা চিহ্নিতকরণে চুক্তির সমর্থনে প্রটোকল স্বাক্ষর; ৪৭টি বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্তভাবে ভারতের বাজারে প্রবেশাধিকার প্রদান; দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুত্, পানিসম্পদ, খাদ্যনিরাপত্তা, শিক্ষা, ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ বিস্তৃতি, জলবায়ু ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে যৌথভাবে কাজ করা এবং প্রয়োজনে পানিসম্পদ ব্যবহারে নদীর অববাহিকাভিত্তিক ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগের বিষয়ে দুই দেশের নেতারা একমত হন। ২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের মধ্য দিয়ে যে ইতিবাচক যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা ২০১১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে আংশিক পূর্ণতা লাভ করে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সময় ব্যবসা-বাণিজ্যে শুল্ক দূর করা, তথ্য ও প্রযুক্তিখাতে যোগাযোগ বাড়ানো, পরিবেশগত সুরক্ষা অর্থাৎ দুর্যোগ প্রশমনে সহযোগিতাসহ ৫টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়।

এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নানা দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। উভয় দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় উন্নীত করার এটা একটা সুযোগ। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারত সক্রিয় ভূমিকা রাখুক, সেটা বাংলাদেশের অন্যতম চাওয়া। আছে অভিন্ন নদ-নদীর পানি বণ্টনের মতো দীর্ঘমেয়াদী অমীংমাসিত সমস্যার সমাধান।

উল্লেখ্য, ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক কালে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নিজস্ব অর্থনৈতিক বিকাশ এবং বহির্বিশ্বে প্রভাব সৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব-প্রতিপত্তি বেড়ে যাওয়ার কারণে এ মনোযোগ আরও বেড়ে গিয়েছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে এবং অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের স্বার্থ এখন অনেকাংশেই ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের আমদানি বাণিজ্যের উৎস হিসেবে ভারত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যেও ভারতের উপস্থিতি বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। যোগাযোগের মাধ্যমে বিনিয়োগ, প্রাকৃতিক সম্পদের বণ্টন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনার বিষয়ে দুই দেশের স্বার্থ অভিন্ন। কূটনৈতিক দর-কষাকষি ও পেশাগত উৎকর্ষের মাধ্যমে এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলে ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশই লাভবান হবে বলে অনেকে মনে করেন।

প্রথমেই স্থলসীমানা চিহ্নিতকরণসহ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সীমান্ত সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করা, দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভিসা-পদ্ধতি সহজীকরণ, চালু যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে গ্রাহকবান্ধব করে তোলা, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করা, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিনিময়ের মতো বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগী হতে হবে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদের অংশীদার অন্যান্য আঞ্চলিক দেশকে সম্পৃক্ত করে, বিশেষ করে, অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন ও ব্যবহার, জ্বালানি নিরাপত্তা, আঞ্চলিক সহযোগিতা, বিশেষ করে, স্থল ও জলপথে ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে পারস্পরিক সুবিধা লাভের জন্য উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। সমুদ্রসীমা নির্ধারণ, দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, সন্ত্রাস দমন ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উদ্ভূত বিপর্যয় ঠেকাতে যথোপযুক্ত সহযোগিতার বিষয়ও বিবেচনায় রাখতে হবে।

এ জন্য দরকার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নীতি। প্রয়োজন বাংলাদেশের কূটনৈতিক কাঠামোকে আরও বেশি কার্যকর ও শক্তিশালী করা এবং একইসঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে সংশ্লিষ্ট সব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পেশাদার সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য ‘ভারতনীতি’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সচেষ্ট হওয়া। মনে রাখা দরকার যে, এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের সম্পর্কের বিষয়টি ভাবাবেগ দ্বারা পরিচালিত নয়, বরং এটি একটি গভীর স্বার্থের বিষয়। এখানে প্রয়োজনে ছাড় দিতে হবে, প্রয়োজনে কূটনৈতিকভাবে দর-কষাকষি করে নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। এটা হবে রবিঠাকুরের কবিতার মতো-‘দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে।‘ এটি আপাতদৃষ্টিতে কঠিন মনে হলেও তা একেবারেই অসম্ভব নয়।