একটি মহল বিদ্যুৎ ও ডলার সংকটকে কেন্দ্র করে জনগণের মধ্যে হতাশা সৃষ্টিতে ব্যস্ত। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি, কর্ণফুলী টানেলসহ যে সব উন্নয়ন প্রকল্প কেবল আমাদের জনগণের কাছে নয়, বিশ্ববাসীরও নজর কেড়েছে তার গুরুত্ব খাটো করে দেখা এবং এমনকি হাস্য-পরিহাস করার প্রবণতাও লক্ষণীয়।
Published : 12 Aug 2022, 05:11 PM
‘তেল গেল ফুরাইয়া’, ‘রিজার্ভ গেল শেষ হইয়া’, ‘উন্নয়নের বেলুন ফুটা’ ‘পদ্মা সেতুর নামে বীভৎস লুটপাটের উৎসব’, ‘মেগা প্রকল্প-মেগা দুনীতি’, ‘পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের লাভের ৩৬ হাজার কোটি টাকা গেল কোথায়?’– বাংলাদেশের দুর্গতি নিয়ে এ ধরনের খবরের শিরোনাম ফেইসবুকে ঘুরে বেড়ায়, টকশোতে রেফারেন্স হয়। সংবাদপত্রের পাতাতেও স্থান হয়। বাংলাদেশকে ‘বাস্কেট কেস’ কিংবা ‘বটমলেস বাস্কেট’ হিসেবে বিশ্বব্যাংকের ‘খ্যাতিমান-বরেণ্য অর্থনীতিবিদরা’ কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের হেনরি কিসিঞ্জারের মতো ঝানু কূটনীতিকরা অপবাদ দিলে যারা খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান তারা এ ধরনের খবরে অতিশয় পুলক অনুভব করেন।
১৯৭৪ সালের জুলাই-অগাস্টে প্রলয়ংকরী বন্যার পর প্রকট খাদ্য সংকটের সময় এক কবি ‘ভাত দে হারামজাদা নইলে মানচিত্র খাব’ কবিতা লিখে বাহবা পেয়েছিলেন। আরেকজন ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’ লিখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। কিন্তু যখন ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১০ বছরের শেখ রাসেল ও দেশের সেরা খেলোয়াড় সুলতানা কামালকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয় তখন ‘মানুষ তার বাসগৃহেও নিরাপদ নয়’ কলাম প্রকাশ করেন নাই।
কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে থাকায় ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ‘করোনায় বাংলাদেশে অন্তত ২০ লাখ লোকের মৃত্যুর আশঙ্কা। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এ মহামারী মোকাবিলা করতে পারবে না।’
করোনা হানা দেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের কয়েকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত সংস্থা ও ব্যক্তি নেতিবাচক দিকগুলোকেই বেশি বেশি সামনে এনেছে। কেউ বলেছে রপ্তানি বাণিজ্যে ধস নামবে, কেউ বলেছে প্রবাস থেকে লাখ লাখ বাংলাদেশি বেকার হয়ে চলে আসবে এবং রেমিটেন্স প্রবাহে ধস নামবে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে বিবিসির আকবর হোসেন এক প্রতিবেদনে প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প টিকে থাকতে পারবে?’ রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশ আসে এ খাত থেকে। বছরে রপ্তানির পরিমাণ ৩ হাজার কোটি ডলারের বেশি। কিন্তু সামনে কেবলই দুঃসময়।
বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক ওই সময়েই বিবিসিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘কোনো ক্রেতাই এখন প্যান্ট-শার্ট কিনবে না, কিনবে খাবার ও ওষুধ।’ প্রতিদিন টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে তার উদ্ধৃতি দিয়ে খবর থাকত– শত শত কোটি ডলারের রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়ে গেছে। আরও বাতিল হচ্ছে।
১ এপ্রিল (২০২০) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম খবর প্রকাশ করে– ‘পোল্ট্রি শিল্পের ক্ষতি ১৬০০ কোটি টাকা।’ ৫ এপ্রিল ইত্তেফাকের একটি খবরের শিরোনাম ‘জাহাজ নির্মাণ শিল্প ১০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির মুখে।’ আরেকটি দৈনিকে খবর প্রকাশ হয়– পরিবহন খাতের ৮০ লাখ শ্রমিকের সহায়তায় কেউ এগিয়ে আসে নাই।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ বা সিপিডি বলেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ২.৫ শতাংশে নেমে যাবে, যা ৩০ বছরে সবচেয়ে কম।
মন্দ-পূর্বাভাস অনেক ক্ষেত্রে সঠিক হয়নি। শেখ হাসিনার ইকোনমিক প্যাকেজ অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে। দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠী কয়েক ধরনের আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা পেয়েছে। জনবহুল দেশের প্রতিটি মানুষ সরকারের ব্যয়ে করোনার ভ্যাকসিন পেয়েছে। রপ্তানি আয় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে রেকর্ড ৫২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি বেড়ে চলেছে। [তবে মনে রাখতে হবে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির পেছনে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিও দায়ী]। প্রবাস থেকে দলে দলে বাংলাদেশিরা ফেরত আসেনি। বরং প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ছে।
দ্য প্রিন্ট-এর প্রধান সম্পাদক খ্যাতিমান সাংবাদিক শেখর গুপ্ত এক আলোচনায় ১৪ ফেব্রুয়ারি (২০২০) ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত স্বাতী নারায়নের এক প্রতিবেদনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। ওই সময়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের এক মন্ত্রী বিদ্বেষপ্রসূতভাবে বলেছিলেন, ‘নাগরিকত্ব প্রদান করা হলে বাংলাদেশের অর্ধেক লোক ভারতে চলে আসবে।’ এর উত্তরে স্বাতী নারায়ন প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন আসবে? শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাড়িতে টয়লেট, মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা, স্কুল-কলেজে ছাত্রী ভর্তি, নারী কর্মী, সাক্ষরতার হার– এ সব অনেক সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে। তারা বিনামূল্যে প্রতি বছর চার কোটির বেশি ছাত্রছাত্রীকে পাঠ্যবই দিচ্ছে। বাংলাদেশ কেবল মাথাপিছু জিডিপিতেই ভারতের থেকে সামান্য পিছিয়ে ছিল। শেখর গুপ্ত বলেছেন, এখন জিডিপিতেও ভারতকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। শুধু এ বছর নয়, সামনের জন্য যে ভবিষ্যদ্বাণী আইএমএফ-এর সেটাও নরেন্দ্র মোদী সরকারের জন্য সুখকর কিছু নয়।’
গড় জিডিপিতে ১০-১৫ হাজার কোটি টাকার মালিক আর হতদরিদ্রকে সমান করে দেখানো হয়, এটাও ভুললে চলবে না। শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু জিডিপি ২০২০ সালে ছিল ৩৭০০ ডলার, চীনের প্রায় ১১ হাজার ডলার– এ তথ্যও আমাদের মনে রাখতে হবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নানা সমস্যা আছে। দুর্নীতি-অনিয়ম বিস্তর। ধর্মান্ধ অপশক্তি বার বার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের আমদানি ব্যবসার সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। বিক্রিতে বেসরকারি খাতের নিরঙ্কুশ প্রাধান্য, তবে দাম ঠিক করে দেয় সরকারি সংস্থা। আমদানি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা যথেষ্ট নেই, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। সমালোচনাও হতে পারে। দশকের পর দশক ধরে (বাংলাদেশের পাঁচ দশকের ইতিহাসে প্রায় তিন দশক শাসন করেছে আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তি) চলে আসা এ ব্যবস্থার ভালোর দিকে পরিবর্তন নিয়ে যথাযথ পর্যায়ে বিতর্ক হওয়াই উচিত। সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম ভোক্তা পর্যায়ে বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। বৃদ্ধির হার ‘রেকর্ড’ মাত্রায়। একইসঙ্গে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। টানা কয়েকটি বছর রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়া প্রায় শূন্যের পর্যায়ে ছিল। হ্যারিকেন-কুপি বাতি বিদায় নিয়েছিল। বিএনপি এবং আরও কয়েকটি দল বিদ্যুৎ সংকটের প্রতিবাদে যে হ্যারিকেন মিছিল করছে, তাতে পুরানো নয় বরং নতুন হ্যারিকেন আমরা দেখছি। একইসঙ্গে আরও কিছু নেতিবাচক প্রবণতা আমরা দেখছি যেমন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চার হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে যাওয়া, ডলারের মূল্য ব্যাংক ও খোলাবাজারে বৃদ্ধি, চাল-ডালসহ অনেক ধরনের নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, বাস-লঞ্চ-ট্রাক ভাড়া বৃদ্ধি। বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির মূল্য আরেক দফা বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথাও শোনা যাচ্ছে।
এ সব কারণে ‘মানুষ কষ্টে আছে’ বৈকি। এ কষ্ট সরকার চাইলেই কি কমাতে পারবে?
এ জন্য প্রথম শর্ত হচ্ছে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, গম, রাসায়নিক সার এবং আরও অনেক ধরনের পণ্যের দাম কমানো। এ মূল্য বেড়েছে প্রধানত রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে। ‘যুদ্ধ থামাও’– এ দাবি বিশ্বের সর্বত্র উঠছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন প্রভৃতি দেশের অস্ত্র ব্যবসায়ীরা তা চায় না। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে, সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে। মানুষ মারা ও অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে জো বাইডেন এবং তার সহযোগীরা মানবাধিকারের ধ্বজা তুলে ধরছেন!
বিদ্যুৎ সংকট থেকে বাংলাদেশকে কার্যত মুক্তি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সংকট জিয়াউর রহমান, এইচ এম এরশাদ, খালেদা জিয়া এবং ফকরুদ্দীন আহমদের বিশেষ ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রকট ছিল। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামের সরকার ২০০১-২০০২ সাল থেকে ক্ষমতায় ছিল। আলজাজিরা ২০০৬ সালের ২৮ মে এক প্রতিবেদনে বলেছিল, ‘বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য দফতরে। তিনি বলেছিলেন, দুই বছরে পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা নেই। দিনে ৭০০-৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি, কখনও কখনও তা ১৮০০ মেগাওয়াটে পৌঁছায়।’
ওই আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াটের আশপাশে। এখন উৎপাদন হয় কয়েক গুণ বেশি বিদ্যুৎ। তারপরও সংকট কেন? সমস্যার সমাধান-সূত্র সবটা বাংলাদেশের হাতে নেই। বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। গ্যাসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গ্যাসও আমদানি করা হচ্ছে এবং এর পেছনেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হচ্ছে। খাদ্যসহ কয়েক ধরনের পণ্যের বাজারে অস্থিরতার পেছনেও বড় দায় বিশ্ব বাজারের। সরকার চাইলেই এ সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। তারা জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। একইসঙ্গে তেলের ব্যবহার কমানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে যুক্তি হচ্ছে– তেলের ব্যবহার কমলে আমদানি কমবে, যার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ কমবে। কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, জ্বালানি তেলের মূল্য না বাড়িয়ে আমদানি শুল্ক ও অন্যান্য কর কমানো যেত। কিন্তু এতে সরকারের রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দিত, যা সরকারি বিনিয়োগে সমস্যা সৃষ্টি করত।
বিএনপির আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি ছিল প্রকট। তবে এর কারণ ছিল উৎপাদন বাড়াতে না পারা। বিএনপির নেতা তারেক রহমান ২০০৬ সালে এনটিভির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘একইসঙ্গে বাসায় এবং দোকানে-মার্কেটে বিদ্যুৎ চাইলে পাওয়া যাবে না।’ এটাও আমাদের জানা যে বিএনপি ২০০১-২০০৬ সালে কেবল একটি মাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করেছিল (৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতার), যা থেকে ন্যাশনাল গ্রিডে এক মেগাওয়াট বিদ্যুতও যোগ করা যায়নি। অন্যদিকে, বর্তমান সংকটের কারণ মূলত আন্তর্জাতিক। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল এবং আরও কয়েক ধরনের পণ্যের দাম কমলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবেই। তবে এটাও মনে রাখা দরকার যে আরও অনেক দেশের মতো আমাদেরও জ্বালানির তুলনামূলক সহজ ও বিকল্প উৎস খুঁজতে হবে। একইসঙ্গে দেশের অভ্যন্তরেও উৎপাদন ব্যয় যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা এবং যে কোনো ধরনের দুর্নীতি-অসচ্ছতার প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা চাই। মানুষ কষ্ট সহ্য করতে রাজী, যদি তারা দেখতে পায়– মন্ত্রী-এমপি, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী এবং প্রশাসনে যুক্তরা কৃচ্ছ্রতার পথে চলেন। তাহলেই হিতোপদেশ কাজে লাগবে।
একটি মহল বিদ্যুৎ ও ডলার সংকটকে কেন্দ্র করে জনগণের মধ্যে হতাশা সৃষ্টিতে ব্যস্ত। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি, কর্ণফুলী টানেলসহ যে সব উন্নয়ন প্রকল্প কেবল আমাদের জনগণের কাছে নয়, বিশ্ববাসীরও নজর কেড়েছে তার গুরুত্ব খাটো করে দেখা এবং এমনকি হাস্য-পরিহাস করার প্রবণতাও লক্ষণীয়। অনেক সমস্যার মধ্যেও ডিজিটাল বাংলাদেশ সুবিধা এখন ঘরে ঘরে, হাতে হাতে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এরও অপব্যবহার হচ্ছে যথেচ্ছ। এ পথে চলছে যারা, তাদের অনেকের রাজনৈতিক লক্ষ্যও স্পষ্ট– ঘোলা পানিতে মাছ শিকার। দেখা যাক, মাছ ওঠে কীনা। তাদের জন্য অবশ্য সুখবর রয়েছে– বাংলাদেশ মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে রয়েছে, ভারত ও চীনের মতো বিশাল অর্থনীতির দেশের পরেই রয়েছে তার স্থান।