সদ্য বিদায়ী সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, প্রতিটি সাধারণ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়া উচিত। প্রশ্ন হলো, এই বোধোদয় হতে তার বা তার কমিশনের এত দেরি হলো কেন?
Published : 07 Sep 2024, 01:15 PM
২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে তার পরবর্তী এক দশক ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে অস্থিরতা, যে সংকট, নির্বাচন নিয়ে যে অবিশ্বাস ও অনাস্থা— তার প্রধান কারণ যে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটি বাতিল করে দেওয়া, সে বিষয়ে দ্বিমত পোষণের সুযোগ কম।
যারা এই সময়কালে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে ছিলেন, অর্থাৎ যাদের নেতৃত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তারা বিষয়টি আরও ভালো জানতেন। কিন্তু সংবিধান পরিবর্তনের এখতিয়ার যেহেতু তাদের নেই এবং এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়, সে কারণে তারা বরাবরই সরকার যেভাবে চেয়েছে, সেভাবে নির্বাচন আয়োজন করেছেন।
সদ্য বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, প্রতিটি সাধারণ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়া উচিত। প্রশ্ন হলো, এই বোধোদয় হতে তার বা তার কমিশনের এত দেরি হলো কেন? কিংবা এখন তিনি যে উপলব্ধির কথা বলছেন, এই যুক্তি বা উপলব্ধিটি কি তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে একবারও বলেছেন? এই কথা তখন বললে কি তার চাকরিটা চলে যেত নাকি এই কথা বলার আইনি বা সাংবিধানিক এখতিয়ার তার ছিল না?
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাস আগে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বারবার দাবি করেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করবে। হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘যেটা আপনি বলেছেন, এটা হচ্ছে পলিটিকাল লিটারেচার বা পলিটিকাল ফিল্ডের কথা যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে কি হবে না। সে বিষয়ে আমরা কোনোরকম মন্তব্য করবো না।’(বিবিসি বাংলা, ১২ অক্টোবর ২০২৩)।
প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তির দিনে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনার একযোগে পদত্যাগ করেন। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা ও সংস্কৃতি নিয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা দেন। যেখানে তিনি বলেন, দেশের প্রথম সাংবিধানিক নির্বাচন ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই নির্বাচন নিয়েও ছিল অনেক বিতর্ক। ১৯৭৯ ও ১৯৮৭ সালের সাধারণ নির্বাচন সামরিক শাসন আমলে হয়েছে, ফলাফল নিয়ে ছিল বিতর্ক। ১৯৯১-এর নির্বাচন সর্বসম্মত রাজনৈতিক রূপরেখার ভিত্তিতে এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনের হয়েছিল। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচন সাংবিধানিক নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সূক্ষ্ম বা স্থূল কারচুপির সীমিত সমালোচনা সত্ত্বেও সার্বিকভাবে সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য হয়েছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচন সেনা সমর্থিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ২৭টি ও আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পেয়েছিল। নির্বাচনটি বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না। নিরাপদ প্রস্থান (সেফ এক্সিট) বিষয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সেনা সমর্থিত অসামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দর কষাকষির বিষয়টি প্রায় প্রকাশ্য ছিল। সেই প্রশ্নে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অবস্থানও গোপন ছিল না। হাবিবুল আউয়াল তার কমিশনের অধীনে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুরূপ অন্তর্ভুক্তিমূলক ছিল না স্বীকার করে বলেন, ২৯৯টি আসনে নির্বাচন প্রার্থীদের মধ্যে ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হয়েছে— দলের মধ্যে নয়।
একটু পেছনে ফেরা যাক।
২০১১ সালে যখন সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাটি বাতিল করে দেওয়া হয়, তখন সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে দেশের প্রথিতযশা আইনজীবী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, লেখক, বুদ্ধিজীবী, সিনিয়র সাংবাদিক এমনকি রাজনৈতিক দলের নেতাদের অধিকাংশই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রেখে এতে প্রয়োজনীয় সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। এমনকি ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানসম্বলিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেওয়ার আগ পর্যন্ত এই ইস্যুতে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও প্রকাশ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের কথা বলেনি। বরং ২০১১ সালের ২৭ এপ্রিল বিশেষ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তারা তিন মাসের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন করতে না পারলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা বাতিল এবং আগের সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা সম্ভব হলে বিচার বিভাগের বাইরে থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের বিধান করার পক্ষেও মত দিয়েছেন। তাদের প্রস্তাব, সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের আলোচনা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান নির্বাচিত হবেন। অথবা সরকারি ও বিরোধী দলের পাঁচজন করে সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটিই ঠিক করবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টা কারা হবেন। (আমীন আল রশীদ, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী: আলোচনা-তর্ক-বিতর্ক, ঐতিহ্য/২০১১, পৃ. ৬২)।
কিন্তু ৩০ মে অনুষ্ঠিত বিশেষ কমিটির ২৬তম বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। কমিটির যুক্তি ছিল, যেহেতু সর্বোচ্চ আদালত এই বিধান বাতিল করেছেন, অতএব এটি সংবিধানে রাখার সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২১ জুলাই সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর জন্য বিশেষ কমিটি গঠনের পরদিনই তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিন, আওয়ামী লীগ সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে বিদ্যমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করতে পারে। দলের একাধিক শীর্ষ নেতা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে আবার ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনের মতো কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে। সরকার আবার বাকশাল কায়েম করার পথে অগ্রসর হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা। (আমীন, প্রাগুক্ত, পৃ. ২৩)।
১৯৯১ সালের নির্বাচনের দুই-তিন বছর পরই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সরকার বিরোধী দল। তাদের আন্দোলনের মুখে বিএনপি সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনী এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান যুক্ত করে। অথচ এর ১৪ বছর পরেই আওয়ামী লীগ এই বিধানের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর জন্য গঠিত বিশেষ কমিটির কো-চেয়ারম্যান ২০১১ সালের ২৪ মার্চ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে ‘মিডনাইট ল’ বলে মন্তব্য করেন। এরপর ওই বছরের ৩০ জুন সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাশ হয়ে যায় এবং এর মধ্য দিয়ে বাতিল হয়ে যায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। ফলে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় দলীয় সরকারের অধীনে। একইভাবে ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে। পরপর তিনটি নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হয় এবং প্রতিটি নির্বাচন নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। যে ব্যাখ্যা সদ্য বিদায়ী সিইসিও দিয়েছেন।
তত্ত্বাবধায়ক না থাকায় আওয়ামী লীগের এই পরিণতি?
দলীয় সরকারের অধীনে যে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হয় না বা বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতায় যে সেটি এখনও সম্ভব নয়, এ বিষয়ে ভিন্নমতের সুযোগ কম। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংকট এবং আওয়ামী লীগের মতো একটি বিরাট দল ও শেখ হাসিনার মতো একজন পরাক্রমশালী শাসককে অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যে যেতে হলো, সেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান বাতিলও কম দায়ী নয়। কেননা, সহজ অংকটি হলো নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ২০০৯ থেকে টানা চার মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারত না। কারণ একটি সরকার যত ভালো কাজই করুক না কেন, সে এমন কিছু গণবিরোধী কাজ করে এবং তার তার বিরোধীরাও এমন সব ইস্যুতে সক্রিয় থাকে যে, নিরপেক্ষ ভোট হলে মানুষ পরপর একই দলকে দু-বার ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ফলে ২০১৪, ২০১৮ এবং সবশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে এক বা একাধিকবার বিএনপি ক্ষমতায় আসত। তাতে রাজনৈতিক ক্ষমতার একটা ভারসাম্য থাকত। অনানুষ্ঠিতভাবে দেশে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী একদলীয় ব্যবস্থা কায়েম করা যেত না। সেটা আওয়ামী লীগের পক্ষে যেমন অসম্ভব ছিল, বিএনপির পক্ষে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার ফলে নির্বাচনগুলো শুধু বিরোধী রাজনৈতিক দল নয়, বরং জনগণের কাছেও আস্থা হারিয়েছে। কিন্তু এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসত, তাহলে আওয়ামী লীগ এখন বিরোধী দলে থাকতে। তাতে অভ্যুত্থানের মুখে দলীয় প্রধানকে পালিয়ে যেতে হতো না এবং আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় দলকে এরকম বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হতো না।
সমাধান কী?
প্রশ্ন হলো, নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে, সেটিই কি সমাধান? কেননা ২০০৮ সালের নির্বাচনটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হলেও সেটিও পুরোপুরি বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না। তাহলে সমাধান কী?
এখানে সমাধান দুটি। ১. যতদিন না রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে, ততদিন নির্বাচনটি অবশ্যই একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে। সেজন্য হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করতে হবে (যেটি সর্বোচ্চ আদালতের কাজ) অথবা সংবিধান সংশোধন করে বিধানটি পুনরায় যুক্ত করতে হবে। ২. নির্বাচনি ব্যবস্থার পরিবর্তন।
পৃথিবীর অনেক দেশেই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন হয়। এই পদ্ধতিতে ব্যক্তি নয়, বরং দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে হয়। সারা দেশের গণনায় একটি দল যে সংখ্যক ভোট পায়, আনুপাতিক হারে সংসদে সে সেই পরিমাণ আসন পায়। এটা ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি ভোটই মূল্যায়ন করা হয় এবং যে দল কম ভোট পায়, সংসদে তাদেরও প্রতিনিধিত্ব থাকে। আমাদের সংসদে এখন সংরক্ষিত নারী আসনের বণ্টনও এই আনুপাতিক হারে হয়। অর্থাৎ মূল নির্বাচনে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো যে আসন পায়, সেই অনুপাতে ৫০ জন সংরক্ষিত আসনের এমপি নির্বাচিত হন।
সদ্য বিদায়ী সিইসী কাজী হাবিবুল আউয়ালও এই পদ্ধতির পক্ষে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর সমরূপতার কারণে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (দলীয়ভিত্তিক) নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ ক্ষেত্র হতে পারে। সেই সঙ্গে নির্বাচন চার বা আটটি পর্বে, প্রতিটি পর্বের মধ্যে তিন থেকে পাঁচ দিনের বিরতি রেখে অনুষ্ঠান করা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে সহজ ও সহায়ক হতে পারে। আমাদের প্রবর্তিত অনলাইনে নমিনেশন দাখিল অব্যাহত রেখে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তির ব্যবহার অপটিমাইজ করতে পারলে আমাদের ধারণা ভবিষ্যতের জন্য উত্তম হবে।’
পরিশেষে, গত ৫ অগাস্টের সফল অভ্যুত্থানের পরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তী সরকার এখন দায়িত্ব পালন করছে, তাদের মূল কাজ হিসেবে জুলাই-অগাস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার ও রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলা হলেও একটি অবাধ-সুষ্ঠু-প্রভাবমুক্ত-গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনও যেহেতু তাদের করতে হবে, ফলে নির্বাচনকালীন সরকার এবং নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েও তাদের কাজ করতে হবে।
পরিশেষে, গত ৫ অগাস্টের সফল অভ্যুত্থানের পরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তী সরকার এখন দায়িত্ব পালন করছে, তাদের মূল কাজ হিসেবে জুলাই-অগাস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার ও রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলা হলেও একটি অবাধ-সুষ্ঠু-প্রভাবমুক্ত-গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনও যেহেতু তাদের করতে হবে, ফলে নির্বাচনকালীন সরকার এবং নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েও তাদের কাজ করতে হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, একটি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকার গঠিত হলেও তারা যা কিছুই করুক না কেন, শেষমেষ তাতে জনগণের ম্যান্ডেট থাকতে হবে।
আরও পড়ুন:
'সংস্কারের' পথ করতে সরে দাঁড়াল হাবিবুল আউয়াল কমিশন
নতুন সিইসি হাবিবুল আউয়াল: কে তিনি?
অন্তর্বর্তী সরকার: সংস্কারের লক্ষ্যে পদত্যাগ আর পরিবর্তনের হিড়িক