Published : 25 Jun 2020, 10:01 PM
মাত্র সুস্থ হয়ে উঠছি, এ সময় কোনও ধরনের লেখালেখি করার কি ইচ্ছে জাগে? না পড়াশোনার, যেটি আমার পেশা। সবার মনে অস্থিরতা। কী হবে? বাঁচব তো? মানুষজন কথা শুনছে না। সরকার কী করছে? শেখ হাসিনা না থাকলে তো দেশটা ব্যবসায়ীরা এতদিনে বেঁচে দিত- এসব প্রশ্নে সবাই আলোড়িত। সুসময়ে লেখার কথা তেমন কেউ বলে না। এখন বলছে। সোজাসাপ্টা কথা, এতোদিন লিখেছেন, খারাপ সময়ে লিখেছেন, এখন কেন লিখবেন না? লেখা আপনার ডিউটির মধ্যে পড়ে।
সরকারের যারা সমর্থক তারাই একথা বলছেন। বলি, সবাইতো আবদুল গাফফার চৌধুরী নন যে ৮৫ বছরে ২৫ বছরের যুবকের এনার্জি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে তিনটি লেখা লিখবেন? আর আমি এ সরকারের সমর্থক। আমি তো সরকারের বিরুদ্ধে লিখতে পারব না। সবার কথা একটিই, লিখুন, প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদের মনের কথা বোঝেন তা হলে আশ্বস্ত হই। অবস্থা এখন এমন যে, শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ সরকারের কাউকে বিশ্বাস করে না।
যে বিষয়টি সবাই তুলে ধরতে বলেছেন সে বিষয়ে যাওয়ার আগে একটি ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ। এ বয়সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফিরে আসার সম্ভাবনা কম। আমার ক্ষেত্রেও সে কথা প্রযোজ্য। প্রধানমন্ত্রীর নজরে পড়ার কারণে সুচিকিৎসায় ফিরে এসেছি। ডাক্তাররাও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও মানুষের দোয়ায় ফিরে এসেছেন। আমিও সে কথা বিশ্বাস করি। আয়ুর ফিতে এখনই ছিন্ন হতে না দেওয়ার জন্য আবারও প্রধানমন্ত্রী ও পাঠকদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
করোনা ও মৃত্যু সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েই কথা:
১. আমাদের উপর কাঠামোর উন্নতি হচ্ছে, জীবনযাত্রার মানও। বৈষম্যও বাড়ছে। কিন্তু, এতোদিনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোরতো দাঁড়িয়ে যাওয়া উচিত ছিল শক্ত কাঠামোর ওপর। করোনাকাল প্রমাণ করল, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বাদ দিই, স্বাস্থ্য খাতের কোনো প্রতিষ্ঠানই দাঁড়ায়নি। আমরা দেখছি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব আমলে, যে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছে সেটি আমরা চাইনি। সরল বাংলায় বলতে গেলে টাকা চুরি ও অদক্ষতা। করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম দিকে এ মন্ত্রণালয়ের মাস্ক ও পিপিই কেনায় যে ব্যাপক দুনীর্তি হয়েছে তা ধামাচাপা দেওয়ার যে চেষ্টাই করা হোক না কেন এর বিচার হবেই।
মৃত্যু নিয়ে ব্যবসা আল্লাহ যদি সহ্য করেন তাহলে ধর্মের আর থাকে কী? আজও দেখলাম, খবরের কাগজে মিঠু নামে এক ব্যক্তি সব আমলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৯০ভাগ কেনাকাটার অর্ডার পায় এবং মাল না বুঝিয়ে টাকা তোলে। এখনও সে অর্ডার পাচ্ছে। সরকারের এতোসব সংস্থা এটা জানে না, কিন্তু কোন শিক্ষক কী ব্যঙ্গ করেছেন তাকে সঙ্গে সঙ্গে ধরা যায় [ডিজিটাল আইনের পরিবর্তন বাঞ্ছনীয়। এটির অপব্যবহার হচ্ছে]। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বেসরকারি হাসপাতাল এবং ব্যবসায়ীদের একটি অংশ যে মৃত্যু নিয়ে ব্যবসা করছে- এটি সরকারের নীতি নির্ধারকদের বোঝানো যাবে না। শেখ হাসিনার আমলে আমাদের দেখে যেতে হবে এক মিঠু বিদেশে থেকে মন্ত্রী, আমলাও ব্যবসায়ীদের দিয়ে মৃত্যু নিয়ে ব্যবসা করছে এবং তার বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ নেই?
২. করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুটার ফেব্রুয়ারি থেকে। বেসরকারি এক হাসপাতাল সূত্রে এটি জেনেছি। ভুল হতেও পারে। আজকাল তো ফেক নিউজ এর আধিপত্য। কিন্তু এটাতো ঠিক মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সরকার কোনো ব্যবস্থা নিতে ইতস্তত করেছে। ঠিক আছে, মহামারীর সঙ্গে আমরা মুখোমুখি হইনি, অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু অভিজ্ঞতা হওয়ার পরও 'লকডাউন' নিয়ে এমন ছেলে খেলা কেন হলো বা এখনও হচ্ছে। গার্মেন্টস মালিকরা একবার খেলা খেললেন। ঈদের আগে বলা হলো গাড়ি চলবে না, পরদিন বলা হলো ব্যক্তিগত গাড়ি চলবে। রেড জোন নিয়ে এখনও একই ব্যাপার। এরশাদ আমলের সময় যখন তিনি সিএমএলএ ছিলেন তখন সকালে এক ঘোষণা, বিকালে সেই ঘোষণা বাতিল করে নতুন ঘোষণা দেওয়া হতো। সিএমএলএ-কে বলা হতো 'ক্যান্সেল মাই লাস্ট অ্যানাউন্সমেন্ট।' শেখ হাসিনার আমলে কেনো এমন হবে? তাহলে কি তার নির্দেশ মানা হচ্ছে না। অবস্থা এতই খারাপ!
৩. পত্র-পত্রিকায় বাজেট যত ইতিবাচকই লেখা হোক না কেন, এ বাজেটে যে ব্যবসায়ীদের স্বার্থই রক্ষা হয়েছে তা স্পষ্ট। স্বাস্থ্যখাতে যে বরাদ্দের আশা করা হয়েছিল তা করা হয়নি। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের এগারটি পরিবারের কথা বলতেন যারা পাকিস্তানকে কব্জা করে নিয়েছিল। এ দেশও তো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, গোটা দশেক পরিবার কব্জা করে নিয়েছে। না হলে, মোর্শেদ খান চলে যেতে পারেন, গত এক দশকে যত ব্যবসায়ী পরিবারের খুনোখুনি হয়েছে তারা দিব্যি আছেন ও দেশ ছেড়ে যেতে পারছেন। সম্পূর্ণ গণমাধ্যমও তারা নিয়ন্ত্রণ করছেন। তারা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে কতো দেন জানি না কিন্তু কীভাবে সরকার থেকে সব বিষয়ে সুবিধা নেন তাতো সবাই দেখছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদেরও মেয়াদ বৃদ্ধি হয় কী কারণে? বিএনপি বিচারকদের বয়স বাড়িয়ে নিজেদের স্বার্থে নিজেদের পতন ডেকে এনেছিল।
৪. চুরির জন্য স্থানীয় সরকারের কতোজন ধরা পড়েছে? অধিকাংশই আওয়ামী লীগের। কেন এটা হবে? তাদের শুধু বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন পেশার রাজনীতিবিদসহ, বিদেশ চলে যাচ্ছেন, জানা যাচ্ছে, তাদের অধিকাংশের স্ত্রী পরিবার বাইরে থাকেন, পাসপোর্টও বিদেশী। তারা এখানে তা'হলে বিদেশের স্বার্থ দেখেন না, নিজেদের? কীভাবে এতো জনের বাড়িঘর হয় কানাডা বা আমেরিকায়?
৫. সবাই স্বীকার করছেন যে, শেখ হাসিনা করোনাকালে যা করা সম্ভব তার সবই করেছেন। শুরু থেকেই প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছেন। কিন্তু সেগুলি সবাই পেয়েছে কিনা, না মাঝপথে গায়েব হয়ে গেছে অনেক কিছু, তা জানা নেই। সবার ধারণা অনেক অর্থ গায়েব হয়ে গেছে।
শুধু তাই নয়, গার্মেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে যে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে সরকার তা সহ্য করছে কীভাবে? বাংলাদেশে গার্মেন্টস ও ব্যাংক মালিকরা সব উপার্জন করে না। কিন্তু সবচেয়ে সুবিধা পায় তারা। এখনও তাদের খাই খাই বন্ধ হচ্ছে না। প্রশ্ন, তাদের যে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে দুই যুগ তা অন্যখাতে দিলে সেগুলির উন্নতি হতো কিনা? মনে হচ্ছে সরকার এই দুই শ্রেণির কাছে জিম্মি হয়ে গেছে।
৬. করোনাকালে কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। ১৯৭৫ সালে সেনারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সমাজে রাজনীতিতে যে ভায়োলেন্সের শুরু করেছিল পরবর্তী দু'দশক তা সমাজে স্থায়ী হয়েছে যা আমরা বুঝিনি। মানুষ কতোটা অমানবিক হয়ে গেছে তার প্রমাণ খবরের কাগজের বিভিন্ন খবর। বৃদ্ধ বাবাকে পুত্ররা ডাস্টবিনে ফেলে যাচ্ছে, মাকে পথে, স্ত্রীকে জঙ্গলে এগুলি কল্পনা করিনি, কিন্তু হয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতালের মালিকরা যে কতো অমানবিক এবং সেগুলি মানবসেবা নয় ব্যবসা ভেঞ্চার এটি ভালো ভাবে প্রমাণিত। আফ্রিকাতেও যেখানে আমরা ভাবি সুশাসন নেই, সেখানেও মৃত্যু নিয়ে ব্যবসা করে পার পেত কিনা সন্দেহ। জানি না তাদের লাইসেন্সের শর্ত কী ছিল?
অবাধ পুঁজি ব্যবস্থা যে সাধারণ মানুষের জন্য ভালো নয় তা আবার প্রমাণিত হলো। পুরনো সমাজতান্ত্রিক দেশগুলিতে দেখুন, চীন-ভিয়েতনাম এমন কী কম্বোডিয়ায়ও দেখুন করোনা এমন হাহাকার সৃষ্টি করেনি। যে কিউবাকে এত গালিগালাজ করা হয় সে কিউবার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কী অটুট এখন বোঝা যাচ্ছে। এ জন্যই কি বঙ্গবন্ধু সব সময় মার্কিনি ব্যবস্থা ও অবাধ পুঁজির সমালোচনা করে গেছেন? আজ সমাজে যে অমানবিকতা দেখছি ১৯৭১ সালেও তা দেখিনি। কোভিড-১৯ তো ছোঁয়াচে রোগ মাত্র। ১৯৭১ সালে রাস্তায় বেরুলেই ছিল মৃত্যুর হাতছানি। তখনও তো মানুষ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। আমাদের ভেবে দেখার সময় হয়েছে এই বাঙালি সমাজই কি আমরা চেয়েছিলাম?
৭. সবচেয়ে অমানবিক অবস্থা পার করছেন ডাক্তার ও সেবিকারা। আমার অভিজ্ঞতার কথা বলি। মুগদা হাসপাতালে দেখেছি, ডাক্তাররা কীভাবে খোঁজ নিচ্ছেন। রাতে দেখি ভুতূড়ে দীর্ঘ করিডোর খালি, মৃদু আলো, একজন সেবিকা সবগুলি কেবিন সামলাচ্ছেন। সিএমএইচে দেখেছি, ডাক্তাররা রোগীকে সান্ত¡না দিচ্ছেন, ভালো খাবারের বন্দোবস্ত করছেন। আমাকে সিএমএইচে এক অল্পবয়সী নার্স বলছিলেন, তার শিশুটিকে স্বামী দেখছেন, তিনি এখানেই থাকছেন। ১২ঘণ্টা পিপিই পড়ে থাকেন। গরমে নেয়ে উঠেন। কিন্তু সেবার ঘাটতি দেখিনি। ডাক্তাররা যে ঠিক পিপিই পাননি বা এখনও যেগুলির ক্রয়াদেশ দেয়া হয়েছে সেগুলি মান সম্মত নয় [পত্রিকার খবর]। সেটি কি ভুল খবর? আমরা সবাই আশা করি ডাক্তাররা সেবা দেবেন। সেবিকারা সেবা দেবেন, তারা মারা গেলে কার কী? কিন্তু, তারা কোনো বিষয়ে প্রশ্ন তুললেই শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। যেমন, মুগদায় এক মাসের মধ্যে দু পরিচালককে বদলি করা হলো, অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দিব্যি আছেন। তাদের অপরাধ পিপিই বা থাকার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বলে শুনেছি। অনেক পেশার জন্য হাসপাতাল নিদির্ষ্ট করে দেয়া হয়েছে, ডাক্তার/স্বাস্থ্যকর্মী অসুস্থ অথবা মারা যাচ্ছেন। তাদের জন্য সুবন্দোবস্ত করা হয় না কেন? বিএমএ বা স্বাধীনতা চিকিৎসক দল এখন কী করেন?
৮. সরকারে জনপ্রতিনিধিদের স্থান সীমিত হয়ে আসছে। দাপট বাড়ছে আমলাতন্ত্রের আর ব্যবসায়ীদের। অথচ, আওয়ামী লীগের কী পরিমাণ জনপ্রতিনিধি আক্রান্ত হয়েছেন ত্রাণ দিতে গিয়ে সে তো দেখতেই পাচ্ছি। বিএনপির কোনো নেতা আক্রান্ত হন নি দেখে তাদের সমালোচনা করছি না। কারণ, তারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঘরেই ছিলেন। কিন্তু জেলার ভার কোনো জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া হয় নি। দেওয়া হয়েছে সচিবদের। কোনওখানেই তারা নেই এটি দৃশ্যমান। কিন্তু এটি কি অস্বীকার করা যাবে এ দেশের যতটুকু উন্নতি হয়েছে তা শেখ হাসিনা ও তার জনপ্রতিনিধিদের কারণেই। আমলা আর ব্যবসায়ীরা তো সহযোগী মাত্র।
৯. সবাই যে প্রশ্নটি করছেন, তা হলো, চোখের সামনে এতো অব্যবস্থা, চুরি, লুট দৃশ্যমান কিন্তু কোনও বিচার/শাস্তি হচ্ছে না? শেখ হাসিনা শুরুতেই গরিবরা যাতে কষ্টে না থাকে তার জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করলেন। বিভিন্ন জায়গায় ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যানদের একটি অংশ তা চুরি করল। এখানেও মৃত্যু নিয়ে ব্যবসা। যারা ধরা পড়েছে তাদের শুধু বরখাস্ত করা হলো, লুট রাখার অনুমতি দেওয়া হলো, এটি কেন হবে? ব্যবসায়ীদের একটি অংশের অপকর্ম দৃশ্যমান, বিশেষ করে বড় ব্যবসায়ীদের, যাদের মূলধন হচ্ছে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়া ও সরকার থেকে তা মাফ করিয়ে নেওয়া, তাদের সব মাফ। আমলারা প্রথম থেকেই হযবরল করেছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতের, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হলো- বদলি ও প্রমোশন! মানুষের মনে করোনাকালে এসব দেখে ক্ষোভ কমছে না, বাড়ছে। সবাই একটা প্রশ্ন করছেন, শেখ হাসিনার আমলে কেন এরকম হবে? আমরা আমাদের জানমাল সবতো তার হাতেই অর্পণ করেছি। যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারেন, আমেরিকা ও বিশ্বব্যাংক-কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পদ্মা সেতু করতে পারেন, তিনি এক্ষেত্রে কিছুই করতে পারছেন না। সব সহ্য করছেন। অন্যের অপকর্ম তিনি কেন সহ্য করবেন? বিশেষ করে মহামারী নিয়ে ব্যবসা? কেনো জীবিতকালে তাকে এগুলি দেখে যেতে হবে, সয়ে যেতে হবে?
১০. যেসব দেশে আমলা ও ব্যবসায়ীরা রাষ্ট্র পরিচালনায় নীতি নির্ধারক হয়ে ওঠে সে সব দেশের ভরাডুরি হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এ দেশটির পত্তন করে ইতিহাসের যে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগই থাকুক তিনি তাদের ওপরই নির্ভর করেছেন, আমলাতন্ত্রের ওপর নয়। তারপর দেশটি চলে গেছে ব্যবসায়ী ও আমলাদের হাতে। তার মাশুল তিন দশক আমরা দিয়েছি। শেখ হাসিনা যে এতোটুকু নিয়ে এলেন তা তো দল ও তার সাথীদের নিয়ে। তিনি তো তার পিতার অভিজ্ঞতা গ্রহণ করেছিলেন। তাহলে এখন কেন এমন হচ্ছে? মৃত্যু নিয়ে ব্যবসা করেছে ব্রিটিশরা, সামরিক শাসকরা। জনপ্রতিনিধিরা তো তা করতে পারেন না। বা যারা করছেন তাদের টুঁটি চেপে ধরবেন, সাধারণ জ্ঞানতো সেটিই বলে।