মিয়ানমারে আটক মার্কিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ

ভিন্নমত উসকে দেওয়ার অভিযোগে মিয়ানমারে আটক মার্কিন সাংবাদিক ড্যানি ফেনস্টারের বিরুদ্ধে নতুন করে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার ও সরকার উৎখাত চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

নতুন এ দুটি অভিযোগ ফেনস্টারকে মুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টায় বড় ধরনের ধাক্কা দিল, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

৩৭ বছর বয়সী ফেনস্টার ছিলেন ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক; মে মাসে মিয়ানমার ছাড়ার ফ্লাইটে উঠতে গিয়ে ইয়াংগন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক হন তিনি।

দোষী সাব্যস্ত হলে সন্ত্রাসবাদ আইনে তার সর্বোচ্চ ২০ এবং সরকার উৎখাতচেষ্টার দায়ে আরও ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

“কেন তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনা হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না আমরা; তবে নতুন অভিযোগ যোগ করা মোটেই ভালো কিছু নয়। এসব অভিযোগ দেওয়ায় ড্যানিও খুব হতাশ হয়েছে, দুঃখ পেয়েছে,” রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন ফেনস্টারের আইনজীবী থান জ অং।

ইয়াংগনের কুখ্যাত ইনসেইন কারাগারে বন্দি ফেনস্টারকে ছাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর ধারাবাহিক চাপ দিয়ে যাচ্ছে।

মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি গণমাধ্যমকর্মীসহ সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী কয়েকশ বন্দিকে মুক্তি দিলেও সেই তালিকায় ফেনস্টারের নাম ছিল না।

চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একাধিক গণমাধ্যমের নিবন্ধন বাতিল করেছে, ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট সম্প্রচারে বিধিনিষেধ দিয়েছে, কয়েক ডজন সাংবাদিককে আটক করেছে। এসবের মাধ্যমে সামরিক জান্তা সত্যকে চেপে রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর।

“নতুন অভিযোগগুলো আমাদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে, যেমনটা ড্যানির বিরুদ্ধে আনা আগের অভিযোগগুলোর সময়ও হয়েছিলে,” রয়টার্সকে পাঠানো এক লিখিত বার্তায় এমনটাই বলেছেন ফেনস্টারে ভাই ব্রায়ান।

আটক মার্কিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নতুন দুই অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের এক মুখপাত্রকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা ধরেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।  

তাৎক্ষণিকভাবে ইয়াংগনের মার্কিন দূতাবাসের কাছ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।