সঙ্কটজনক অবস্থায় থাকলেও ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা একই রকম আছে, নতুন করে আর অবনিত হয়নি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
Published : 15 Aug 2020, 06:52 PM
শনিবার তার কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় আনন্দবাজার পত্রিকাকে জানিয়েছেন, চোখে আলো ফেললে কিছুটা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন তিনি, যা কিছুটা উন্নতির লক্ষণ।
শুক্রবার সকালে দিল্লির আর্মি হসপিটাল রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভেন্টিলেশনে থাকলেও প্রণবের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত এবং পরীক্ষার ফলাফলেও কোনো অবনতি নেই।
গত রোববার রাতে দিল্লির বাসভবনে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান প্রণব। পরদিন সকাল থেকে তার স্নায়ুঘটিত সমস্যাও দেখা দেয়; বাম হাত নাড়াচাড়া করতে পারছিলেন না তিনি।
পরে চিকিৎসকের পরামর্শে দিল্লির আর্মি হসপিটাল রিসার্চ এন্ড রেফারেলে ভর্তি করা হয় তাকে। এমআরআই স্ক্যানে মাথার ভিতরে জমাট বাঁধা রক্তের অস্তিত্ব ধরা পড়ে, যা আঘাতের ফলেই হয়েছে বলে মত চিকিৎসকদের। জরুরিভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করে জমাট বাঁধা রক্ত অপরসারণ করা হয়।
অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি পর্বে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে তার তার দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার অবনতি হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তাকে ৯৬ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
শুক্রবার পর্যবেক্ষণের নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার পর বাইরের উদ্দীপনা ও চিকিৎসায় উনি সাড়া দিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।
প্রণব ভেন্টিলেশনে যাওয়ার কয়েকদিন আগে কাঁঠাল খেতে চেয়েছিলেন বলে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিক অভিজিৎ।
“আমি তার জন্য কাঁঠাল আনতে কলকাতা থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি মিরাটিতে যাই (পশ্চিবঙ্গের বীরভূম জেলায়) । ২৫ কেজির পাকা কাঁঠাল ছিল সেটি। ৩ অগাস্ট ট্রেনে করে দিল্লিতে এসে তার সঙ্গে দেখা করি। বাবা আর আমি, দু’জনেই ট্রেন জার্নি পছন্দ করি,” নয়া দিল্লির গ্রেটার কৈলাস এলাকার বাড়িতে বসে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এসব কথা বলেন ৬০ বছর বয়সী অভিজিৎ।
অভিজিৎ আরও বলেন, “ওই দিনই তিনি কিছু কাঁঠাল খান। সৌভাগ্যক্রমে তার সুগার বেড়ে যায়নি (প্রণব মুখোপাধ্যায় ডায়াবেটিকসের পুরনো রোগী) । তিনি খুব খুশী হয়েছিলেন। তখন অসুস্থ ছিলেন না তিনি।”
কিন্তু এর প্রায় সপ্তাহ খানেক পরই পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রণব। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শনাক্ত হয় তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত।
আরও পড়ুন: