অস্ত্রোপচারের আগেই তার দেহে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাসটির অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, রোববার রাতে শৌচাগারে পড়ে গিয়েছিলেন ৮৪ বছর বয়সী প্রণব, এ সময় মাথায় আঘাত পান তিনি। আঘাতে রক্তপাতের ঘটনা না ঘটলেও পরদিন সকাল থেকে স্নায়ুঘটিত সমস্যা দেখা দেয়, বাঁ হাত নাড়াচাড়া করতে সমস্যা হচ্ছিল তার।
এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে দিল্লির আর্মি হসপিটাল রিসার্চ এন্ড রেফারেলে ভর্তি হন তিনি। এমআরআই স্ক্যানে মাথার ভিতরে জমাট বাঁধা রক্তের অস্তিত্ব ধরা পড়ে, যা আঘাতের ফলেই হয়েছে বলে চিকিৎসকদের মত। জরুরিভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন তারা।
অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি পর্বে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়েই তার কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। তারপরও সোমবার রাতেই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এরপর থেকেই ভেন্টিলেশনে আছেন ডায়াবেটিকসের রোগী প্রণব মুখোপাধ্যায়।
তার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে রিসার্চ এন্ড রেফারেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার সকালে তার ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তার বাবা।
২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা প্রণব পরবর্তী ৯৬ ঘণ্টা চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন বলে জানা গেছে।
তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের ফলাফল নেগেটিভ আসায় চাপের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছেন তারা।
গত এক সপ্তাহে যারা যারা তার সংস্পর্শে এসেছিলেন সোমবার নিজের একই টুইটে পূর্বসতর্কতা হিসেবে তাদের আইসোলেশনে থাকার ও কোভিড-১৯ পরীক্ষার অনুরোধ জানিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব ‘ভারত রত্ন’ পাওয়া এই রাজনীতিক।
ইতোমধ্যে তার সুস্থতা কামনা করে বহু লোক টুইট করেছেন। তাদের মধ্যে ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর মতো অনেকে রয়েছেন।
আরও পড়ুন-