আবারও পর্যটক ধর্ষণকাণ্ডে ভারতে তোলপাড়, গ্রেপ্তার ৪

২৮ বছর বয়সী ওই নারী পর্যটক ও তার সঙ্গী মোটরসাইকেলে করে বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছেন এবং কয়েক মাস আগে ভারতে প্রবেশ করেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2024, 10:55 AM
Updated : 4 March 2024, 10:55 AM

ভারতের ঝাড়খণ্ডে ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত স্পেনের এক নারী পর্যটককে দলবেঁধে ধর্ষণ এবং তাকে ও তার সঙ্গীকে মারধরের ঘটনায় আবারও তোলপাড় শুরু হয়েছে। পুলিশ ধর্ষণে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি তিন জনের খোঁজ চলছে।

বিবিসি জানায়, ২৮ বছর বয়সী ওই নারী ও তার সঙ্গী মোটরসাইকেলে করে বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছেন। উত্তরাখণ্ডের দুমকি জেলায় রাতে তারা হামলার স্বীকার হন।

ওই দুই পর্যটক কয়েক মাস আগে ভারতে প্রবেশ করেন। তার আগে তারা এশিয়া মহাদেশের বেশ কয়েকটি অংশে ভ্রমণ করেছেন।

এ সপ্তাহান্তের শুরুতে ওই নারী তার ইন্সটাগ্রাম পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তার পেজের দুই লাখ ৩৪ হাজার অনুসারী রয়েছে।

ভিডিওতে ওই নারী বলেন, “সাত ব্যক্তি আমাকে ধর্ষণ করেছে। তারা আমাদের মারধর করেছে এবং জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। যদিও তারা আমাদের কাছ থেকে খুব বেশি জিনিসপত্র নেয়নি। কারণ, তাদের আসল লক্ষ্য ছিল আমাকে ধর্ষণ করা।”

ওই নারী ভিডিওতে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলেন এবং বলেন, হামলাকারীরা তাদের মারধরের পাশাপাশি হত্যার হুমকিও দিয়েছে।

ওই নারীর সঙ্গী স্পেনের নাগরিক। তিনি আলাদা একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেছে, “তারা আমার মুখমণ্ডল ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু আমার সঙ্গীর অবস্থা আমার থেকেও খারাপ। তারা আমাকে বেশ কয়েকবার হেলমেট দিয়ে আঘাত করেছে, পাথর দিয়ে মাথায় বাড়ি মেরেছে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে সে জ্যাকেট পরে ছিল। যেটা তাদের আক্রমণ কিছুটা হলেও আটকে দিয়েছে।”

এই ভিডিও দুইটি এখন অবশ্য আর তাদের ইন্সটাগ্রাম পাতায় দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ঘটনার বর্ণনায় দুমকা পুলিশ সুপার প্রিতাম্বর সিং খেরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ওই পর্যটক জুটি সড়কে টহল পুলিশের একটি গাড়ি থামিয়ে সাহায্য চায় এবং পুলিশ চিকিৎসার জন্য তাদের স্থানীয় একটি হেল্থ সেন্টারে নিয়ে যায়।

“পর্যটক জুটি ইংরেজি ও স্প্যানিশ মিলিয়ে কথা বলছিল। তাই টহল পুলিশ শুরুতে তাদের কথা বুঝতে পারেনি। কিন্তু যেহেতু তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল তাই তাদের হেল্থ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

“সেখানে গিয়ে চিকিৎসকদের কাছে তারা ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করে।”

এ বিষয়ে ভারতে ব্রাজিলের দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিবিসিকে বলে হয়, ওই নারী ও তার সঙ্গী ‘গুরুতর অপরাধকাণ্ডের শিকার হয়েছেন’।

তারা আরও জানান, তারা ওই নারী, স্থানীয় প্রশাসন এবং স্পেনের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। যেহেতু ওই নারী ও তার সঙ্গী স্পেনের পাসপার্ট নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন।

ব্রাজিলের দূতাবাস থেকে আরও জানানো হয়, স্পেনের দূতাবাস থেকে ওই পর্যটক জুটিকে সম্ভাব্য সব ধরনে সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এমনকি তাদের মনস্তাত্ত্বিক সেবার প্রস্তাবও রাখা হয়েছিল। কিন্তু তারা ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে জানান, ভারতের জরুরি পরিষেবা থেকে তাদের ঠিকঠাক দেখাশোনা করা হচ্ছে।