ভারতের কেরালা রাজ্যে এক শতাব্দির মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ৩২৪ জনের মৃত্যুর পর মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Published : 18 Aug 2018, 06:06 PM
শনিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট তিন লাখেরও বেশি লোককে ত্রাণশিবিরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) সঙ্গে যোগ দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী নজিরবিহীন উদ্ধার ও ত্রাণ অভিযান শুরু করেছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আটকা পড়া লোকজনকে উদ্ধার ও ত্রাণ উপকরণ ফেলতে ৩৮টি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে; প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহের জন্য আরও ২০টি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।
শনিবার সকালে হেলিকপ্টারে করে কেরালার বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি রাজ্যটিতে আরও হেলিকপ্টার, নৌকা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, “কিছু এলাকায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। হাজার হাজার লোক এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।”
এসব লোকজনকে উদ্ধারে সামরিক বাহিনী উদ্যোগ আরও সম্প্রসারিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে আরও ১১টি হেলিকপ্টার পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ পর্যন্ত প্রায় সাত হাজার লোককে উদ্ধার করা হয়েছে কিন্তু আরও প্রায় ছয় হাজার উদ্ধারের অপেক্ষায় আছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
সেনাবাহিনীর ১০টি কলাম ও ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক ফোর্সের ১০টি টিমের প্রায় ৭৯০ জন সদস্যকে রাজ্যটিতে মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য নৌবাহিনীর ৮২টি টিম, কোস্টগার্ডের ৪২টি টিম এবং আধাসামরিক বাহিনীর পাঁচ কোম্পানি সৈন্যও রাজ্যটিতে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
গত ১০০ বছরের মধ্যে এবারের বন্যাই সবচেয়ে মারাত্মক বলে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন।
বন্যাকবলিত এলাকায় স্থাপিত দুই হাজারেরও বেশি ত্রাণশিবিরে তিন লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে এক টুইটে জানিয়েছেন তিনি।
চলতি বর্ষাকালে কেরালায় এ পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
চলতি বর্ষাকালে অতিরিক্ত বর্ষণে কেরালার প্রায় ১০০ বাঁধ, জলাধার ও নদীর পানি উপচে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে।
রোববার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।