বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে।
Published : 05 May 2024, 10:08 AM
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় তার বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয় বলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল জানিয়েছেন।
বাদ জোহর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদ এবং বাদ আসর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রয়াত এ আইনজীবীর জানাজা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে জানাজায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার, সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও নুরুল ইসলাম সুজন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সমিতির বর্তমান সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক অংশ নেন।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান এ জে মোহাম্মদ আলী। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ ঢাকায় আনা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজার আগে এ জে মোহাম্মদ আলীর কর্মময় জীবন সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হয়। তার বাবা এম এইচ খন্দকার ছিলেন দেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল।
এ জে মোহাম্মদ আলীর জন্য তার ছেলে ও মেয়ে সবার কাছে দোয়া চান।
জানাজা শেষে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা এ জে মোহাম্মদ আলীর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ জে মোহাম্মদ আলী ১৯৮০ সালে হাই কোর্ট বিভাগে এবং ১৯৮৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালের অক্টোবরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পান।
পরে তিনি দেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হন। ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই দায়িত্ব পালন করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের এই সদস্য ২০১৩-১৪ মেয়াদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।