গতবছর অগাস্টে অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে লিটন আত্মগোপনে রয়েছেন। তিন মামলার তিনটিতেই তাকে আসামি করছে দুদক।
Published : 22 Apr 2025, 07:21 PM
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, তার স্ত্রী শাহীন আকতার এবং তাদের মেয়ে আনিকা ফারিহা জামানের বিরুদ্ধে প্রায় ২৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তিনটি মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মঙ্গলবার বলেন, কমিশন ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
গতবছর অগাস্টে অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে লিটন আত্মগোপনে রয়েছেন। তিন মামলার তিনটিতেই তাকে আসামি করছে দুদক।
প্রথম মামলায় বলা হচ্ছে, মেয়রের দায়িত্বে থাকাকালে লিটন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১০ কোটি ৩৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৪ টাকার ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ’ অর্জন করেছেন। এছাড়া তার নামে থাকা ১২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫২ কোটি ২৩ লাখ ১৭ হাজার ২৫১ টাকার ‘সন্দেহজনক লেনদেন’ শনাক্ত করেছে দুদক।
দ্বিতীয় মামলায় লিটনের পাশাপাশি তার স্ত্রী শাহীন আকতারকেও আসামি করা হচ্ছে। অভিযোগে বলা হচ্ছে, শাহীন আকতার ‘স্বামীর সহায়তায় ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে’ ১১ কোটি ৪১ লাখ ৬২ হাজার ২৪৫ টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জন করেছেন। তার নামে থাকা ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৭৬ কোটি ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৮০২ টাকার ‘সন্দেহজনক লেনদেন’ পাওয়া গেছে।
তৃতীয় মামলায় লিটন এবং তার মেয়ে আনিকা ফারিহা জামানকে আসামি করা হচ্ছে। অভিযোগে বলা হচ্ছে, আনিকা তার বাবার সহায়তায় ৬ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৭৮১ টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জন করেন। তার নামে থাকা পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৭৮ টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর দুদক খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। এ বছরের ৬ মার্চ আদালত লিটন, তার স্ত্রী শাহীন, কন্যা আনিকা এবং আরেক কন্যা মায়সা সামিহার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।