রোহিঙ্গা নিপীড়নে দায়ী মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ।
Published : 23 Feb 2018, 11:23 AM
মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী হতে পারেন সু চি: জাতিসংঘ দূত
রোহিঙ্গা সঙ্কট: মিয়ানমারের জেনারেল যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায়
দুই কূটনীতিকের বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, তাদের নামের একটি তালিকা করতে ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধানকে অনুরোধ জানানো হবে আগামী সপ্তাহে।
রয়টার্স লিখেছে, মিয়ানমারের জেনারেলদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি বা তাদের সম্পদ জব্দের পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কঠোরতম পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এর আগে রোহিঙ্গা নিপীড়নে জড়িত মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে।
একজন কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়, অবিলম্বে সেই প্রস্তাব সামনে আনতে ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেদারিকো মঘেরিনিকে বলবেন জোটের মন্ত্রীরা।
মিয়ানমারের ওপর নব্বইয়ের দশক থেকে আরোপিত ইইউর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা কীভাবে আরও জোরদার করা যায়, তা খুঁজে দেখতে বলা হবে তাকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ১২ ডিসেম্বর থেকে গ্রেপ্তার রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হতে পারে ইইউর ওই বিবৃতিতে।
গতবছর ২৫ অগাস্ট রাখাইনে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলার পর সেখানে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়। রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাওপোড়াওযের মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় সাত লাখ মানুষ পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া মিয়ানমারের মেজর জেনারেল মাউং মাউং সোয়েসহ ৫২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে গত ডিসেম্বরে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি সম্প্রতি চ্যানেল ফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মিয়ানমারে নিপীড়ন থেকে রক্ষায় রোহিঙ্গাদের পাশে না দাঁড়ানোয় দেশটির নেত্রী অং সান সু চি মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন।