শরীরচর্চা আর খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও কিছু অভ্যাস ভালো রাখতে পারে জীবন।
Published : 05 Oct 2023, 06:20 PM
যে কোনো স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞের প্রাথমিক পরামর্শ হল- ‘ভালো খাও’- ‘ব্যায়াম করা’। তবে জীবনে ভালো থাকতে হলে আরও কিছু বিষয়ে অভ্যস্ত হতে হয়।
আর এই ধারণা পাওয়া যায় ‘ব্লু জোন’ খ্যাত এলাকার মানুষদের থেকে। সেখানকার অধিবাসীরা শুধু খাদ্যাভ্যাস আর কর্মচঞ্চল থাকা ছাড়াও আরও কয়েকটি কারণে স্বাস্থ্যকর দীর্ঘায়ু লাভ করেন।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া’তে অবস্থিত স্বাস্থ্য-শিক্ষা-বিষয়ক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘প্রোঅ্যাক্টিভ হেল্থ ল্যাবস’য়ের প্রতিষ্ঠাতা জয় স্টিফেনসন-লোস, জেডি বলেন, “ব্লু জোন’য়ে বেড়ে না উঠলেও তাদের অভ্যাস রপ্ত করার মাধ্যমে ভালো থাকা যায়।”
খুবই সাধারণ অথচ কার্যকর এসব অভ্যাস যেকেউ সহজেই রপ্ত করতে পারবেন। আর খুঁজে নিতে পারেন স্বাস্থ্যকরভাবে বেঁচে থাকার পথ।
সহজভাবে নেওয়া
‘দীর্ঘ সময় মানসিক চাপে ভুগলে নানান ধরনের দীর্ঘ স্থায়ী রোগে ভোগার সম্ভাবনা বাড়ে”- ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন স্টিফেনসন-লোস।
‘ব্লু জোন’ কোনোটাই শহরের মধ্যে অবস্থিত না। বলতে সবগুলোই দ্বীপ ভিত্তিক এলাকা। তাই সেখানকার মানুষদের জীবনযাত্রা বেশ চাপমু্ক্ত বা সরল।
স্টিফেনসন-লোস বলেন, “তবে শহরে বসবাস করছেন বলেই যে, আপনি কঠিন জীবনে পড়ে গেছেন তা নয়। আসল বিষয় হল ভালো থাকতে হবেল জীবনের পদক্ষেপ নিতে হবে ধীরে। তাড়াহুড়া করা, খুব তাড়াতাড়ি বড় কিছু করার মতো বিষয়গুলো থেকে বের হয়ে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুর মধ্যে থাকতে পারার অভ্যাস গড়তে হবে।”
আর যেটা আয়ত্তের মধ্যে নেই সেটাকে ‘না’ বলতে হবে। সেটা হতে পারে কোনো প্রতিশ্রুতি কিংবা অন্য কোনো কাজ।
আনন্দের সময়টা উপভোগ করা
খাওয়ার আগে হোক কিংবা অন্য কোনো সময়- পরিবারের বা কাছের মানুষদের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটানোর অভ্যাস গড়তে হবে।
‘অনেক দেশেই সুস্বাস্থ্যকামনা কামনা করে পান করা হয়। তবে অ্যালকোহল শরীরের জন্য উপকারী উপাদান নয়। তাই পান করা ছাড়াও আনন্দময় সময় যতটুকুই পাওয়া যায় সেটা উপভোগ করার অভ্যাস গড়লে, মানসিকভাবে অনেকটাই চাপমুক্ত থাকা যায়”- পরামর্শ দেন স্টিফেনসন-লোস।
সামাজিক জীবনকে মূল্য দেওয়া
সামাজিকভাবে যুক্ত থাকাটা দরকারী। ‘ব্লু জোন’য়ের এই জীবনযাত্রা একদমই সাধারণ। সহানুভূতিশীল সামাজিক অবস্থা গড়তে পাড়া প্রতিবেশির সাথে যোগাযোগ রাখা, অনুষ্ঠান পার্বণে একসাথে সময় কাটানো, ইতিবাচক কোনো কারর্যক্রম করা- এই ধরনের বিষয়গুলো জীবনে স্বাস্থ্যকর প্রভাব ফেলে।
শুধু পাড়া প্রতিবেশি নয়, শুরুটা হোক কাছের মানুষ থেকে। নিজেকেই জিজ্ঞেস করে দেখুন- আজকে সবাই মিলে কী করা যেতে পারে? সেটা হতে পারে সকালে একসাথে হাঁটতে যাওয়া, বিকালে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া কিংবা কোনো ইয়োগা ক্লাস।
নিজের আনন্দ খোঁজা
বাস্তবতার সীমাবদ্ধতায় মনের মতো আনন্দ করাটা সহজ নয়। তবে যেকোনো ধরনের ইতিবাচক বিষয়কে স্বাগতম জানানোর মাধ্যমে আনন্দ পাওয়া যায়।
কৃতজ্ঞ হওয়া, অন্যকে সাহায্য করা, আনন্দ পাওয়া যায় এমন কাজ অবসরে করার চেষ্টা করা- এসব ছোটখাট বিষয় মনে ও শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর এটা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। ওষুধ বা ‘জিম’য়ে সদস্য হওয়ার জন্য পয়সা খরচ করতে হয় না।
আরও পড়ুন
যেসব খাবার খেলে সুস্থ থাকে মন ও শরীর