দুঃখবোধ দুই সপ্তাহের বেশি হলে বিষণ্নতায় ভোগার লক্ষণ হতে পারে।
Published : 08 Jan 2023, 12:44 PM
দুঃখ একটা সার্বজনীন অনুভূতি। দুঃখের মাত্রা বৃদ্ধি অনেক সময় বিষণ্নতার অনুভূতি জাগায়।
ক্লিনিকাল বিষণ্নতার নানান লক্ষণ আছে যেমন- মানসিক স্বাস্থ্যগত রোগ, অবিরাম ক্লান্তি, আনন্দদায়ক কাজে আগ্রহ হারানো কিংবা আত্মহত্যার প্রবণতা বা মৃত্যুর চিন্তা-ভাবনা দেখা দেওয়া।
ভারতের ‘ভেডা রিহ্যাবিলিটেইশন অ্যান্ড ওয়েলনেস’য়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অশি টোমার বলেন, “বিষণ্নতার অনুভূতি সাধারণ দুঃখের অনুভূতি থেকে আলাদা।”
টাইমঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি ব্যাখ্যা করেন, “এজন্য ‘সাইকোফার্মাকোলজি’ এবং ‘সাইকোথেরাপিউটিক ইন্টারভেনশন্স’য়ের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন হতে পারে। দুঃখ ও হতাশা অবিচ্ছেদ্য হলেও এর মাত্রা সবসময় এক নয়।”
দুঃখ কি বিষণ্নতায় পরিণত হতে পারে?
পছন্দের মানুষকে হারানো, সম্পর্কে বিচ্ছেদ, চাকুরি হারানো ইত্যাদি বিষয়গুলো মোটেও সুখকর নয়। এগুলো মন খারাপের পাশাপাশি বিষণ্নতা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও মেজাজ খারাপ, দৈনন্দিন কাজকর্ম ইত্যাদি অনেকক্ষেত্রে বিষণ্নতার সৃষ্টি করে।”
বিষণ্নতা বোঝার পন্থা
টোমার বলেন, “বিষণ্নতা বোঝার জন্য লক্ষণগুলো বোঝা জরুরি। দুঃখের অনুভূতি প্রায় প্রতিদিন এবং দিনের বেশিরভাগ সময় এবং প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে অনুভব করলে ধরে নিতে হবে বিষণ্নতায় ভুগছে।”
এই লক্ষণগুলো সামাজিক, পেশাগত ও অন্যান্য কার্যকর ক্ষেত্রেও প্রভাব রাখে। মনে রাখা উচিৎ যে, বিষণ্নতার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলো সাধারণ স্বাস্থ্যকর অবস্থার জন্য হওয়া উচিত নয়।
দুঃখ ও বিষণ্নতা মধ্যে পার্থক্য
মন খারাপ থাকলেও সাধারণ কাজকর্ম উপভোগ করা সম্ভব। তবে বিষণ্নতার ক্ষেত্রে তা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
দুঃখের তুলনায় বিষণ্নতার কারণে জীবনে নানান রকমের বিপত্তি ঘটতে পারে। দুঃখভাব সাধারণত ব্যক্তির সামগ্রিক কার্যকলাপের ওপর খুব একটা নেতিবাচক প্রভাব রাখে না।
বিষণ্নতা বোঝার জন্য কমপক্ষে দুই সপ্তাহ সময় নিয়ে লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হয়।
মন খারাপ বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও বিষণ্নতা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। মন খারাপ বিষয়টাকে নানাভাবে উৎরে উঠতে পারলেও যখন চেষ্টা ব্যর্থ হয় তখন সেটা হয় বিষণ্নতার লক্ষণ।
এ সময় যা করা দরকার
পেশাদার মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শের ভিত্তিতে বিষণ্নতা নির্ণয় করা যায়। মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগের জন্য মনোবিজ্ঞানী ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সহায়তা গ্রহণ করা উপকারী।
মানসিক যত্নের জন্য পেশাদার ‘থেরাপিস্ট’ খুঁজে বের করা এবং তার চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।
আরও পড়ুন