মানসিক অসুস্থতার দুটি রূপ। লক্ষণ ও প্রতিকারও আলাদা।
Published : 04 Feb 2018, 11:35 AM
উদ্বেগ ও বিষণ্নতা সাধারণ মানসিক অসুস্থতা। প্রথমে উদ্বেগ ও বিষণ্নতাকে এক বিষয় মনে হলেও, এই দুটি অবস্থার মাঝে কিছু পার্থক্য আছে। লক্ষণ, কারণ এমনকি চিকিৎসাও আলাদা। তাছাড়া যারা উদ্বেগের মধ্যে থাকেন তাদের অনেকসময় দীর্ঘ সময়ের জন্য বিষণ্ণতায় ভুগতে হতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিষণ্নতায় ভোগা ব্যক্তিরাও ‘উদ্বেগজনিত কষ্ট’ পেতে পারেন এবং উদ্বেগ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও মানসিক চাপ, অস্বস্তি ও অস্থিরতার শিকার হন।
বিশেষজ্ঞরা জানান, যারা উদ্বেগের সঙ্গে বিষণ্নতায় ভোগেন তাদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি থাকে।
উদ্বেগ ও বিষণ্নতা চিহ্নিত করার উপায়
বিষণ্ণতা
এটা একটা গুরুতর মানসিক অবস্থা। যা মানুষের মন মেজাজ, অনুভূতি ও কাজের উপর প্রভাব ফেলে। মানসিকভাবে বিষণ্ন ব্যক্তি মন খারাপ, পছন্দের কাজে অনিহা, শারীরিক ও মানসিকভাবে নানা রকমের সমস্যায় ভোগেন। দেখা দেয়।
বিষণ্নতার লক্ষণ * মনোযোগের অভাব * অনিদ্রা * শক্তি স্বল্পতা * বিষণ্ন মেজাজ * ক্ষুধা মন্দা * মানসিক অনমনীয়তার অভাব * আত্মহত্যার প্রবণতা ও চেষ্টা।
এর মধ্যে পাঁচটি লক্ষণ কোনো ব্যক্তির মধ্যে কম পক্ষে দুই সপ্তাহের বেশি সময় দেখা দিলে বুঝতে হবে তিনি বিষণ্নতার মধ্যে আছেন।
এছাড়াও ‘ডিসথাইমিয়া’ বা হালকা বিষণ্নভাব, ‘প্রিমেন্সট্রুয়াল ডিস্ফোরিক ডিজঅর্ডার’ বা ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে মনখারাপ লাগা ও ‘ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার’ বা উদ্বেগজনিত সমস্যায় এই উপসর্গগুলো দেখা যায়।
উদ্বেগ
দা আমেরিকান সাইকোলজিকাল অ্যাসোসিয়েশন (এপিএ)’ উদ্বেগকে সংজ্ঞায়িত করেন এভাবে, ‘এটা একটি আবেগ যা মানসিক দুশ্চিন্তা, অস্থিরতা এবং শারীরিক পরিবর্তন যেমন- রক্তচাপ ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত।’
উদ্বেগের লক্ষণ * পেশিতে টান ধরা * অতিরিক্ত উদ্বেগ * অস্থিরতা * দুর্বলতা * অস্বস্তি ইত্যাদি * ঠিক মতো ঘুম না হওয়া।
কোন ব্যক্তির মাঝে এই লক্ষণগুলো যদি ছয় মাসের বেশি সময় ধরে দেখা যায় তার উদ্বিগ্নতার ব্যথি আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করানো উচিত।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন-