তিন ধাপে ত্রাণ সহায়তাও দিয়েছে বাংলাদেশ।
Published : 17 Apr 2025, 12:25 AM
ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারসহ বিভিন্ন কাজে সহায়তা শেষে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তাকারী দলটি ফিরে এসেছে।
বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর বলেছে, দলটি মঙ্গলবার বিকালে নৌবাহিনীর একটি জাহাজে ফিরে এসেছে।
দেশে ফিরে আসার পর দলটিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়ার কথাও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে আইএসপিআর।
এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় এই মিশনের আওতায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সমন্বয়ে ত্রাণ, উদ্ধারকারী দল এবং চিকিৎসা সহায়তাকারী দলকে মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছিল।
বুধবার ঢাকা সেনানিবাসে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান, উদ্ধারকারী ও চিকিৎসক দলের প্রত্যেক সদস্যকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। এসময় ঢাকায় মিয়ানমারের মিলিটারি, নেভাল ও এয়ার অ্যাটাচিসহ সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে একই স্থানে প্রেস ব্রিফিংয়ে উদ্ধারকারী ও চিকিৎসক দলের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে তুলে ধরেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের অপারেশন্স ও পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আলীমুল আমীন।
মিয়ানমারে গত ২৮ মার্চ ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তিন ধাপে সহায়তা পাঠানোর তথ্য দিয়ে আইএসপিআর বলেছে, গত ৩০ মার্চ প্রথম ধাপে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর দুটি পরিবহন বিমানে সাড়ে ১৬ টন ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়। পরে ১ এপ্রিল সেনাবাহিনীর একটি ও বিমান বাহিনীর দুটি পরিবহন বিমানের মাধ্যমে উদ্ধার ও চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ৫৫ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল এবং একটি চিকিৎসা সহায়তাকারী দল ও ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়।
এরপর ৮ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে নৌবাহিনীর ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ জাহাজের মাধ্যমে ১২০ টন ত্রাণসামগ্রী মিয়ানমারে নেওয়া হয়।
আইএসপিআর বলেছে, বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল মিয়ানমারের নেপিডো শহরে একটি বিধ্বস্ত চারতলা ভবনের নিচতলা থেকে ৬৮ বছর বয়সী এক নারীর লাশ উদ্ধার করে।
অন্যান্য কাজের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিনটি আংশিক ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী উদ্ধার, নেপিডোর বিভিন্ন এলাকায় ৪৫টি ক্ষতিগ্রস্ত আবাসিক ভবন, ক্লিনিক, শপিং মলসহ বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ ও নিরাপদ স্থান চিহ্নিত করতে সহায়তা করে।
এছাড়া চিকিৎসা সহায়তাকারী দলটি নেপিডোর ৫০ শয্যার যবুথিরি হাসপাতাল, ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এবং ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম ও মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে। সামরিক ও অসামরিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত এই দল ১৭টি জটিল অস্ত্রোপচারসহ মোট ৮৮৫ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।