Published : 13 Mar 2024, 03:44 PM
ইফতারে খাবার হওয়া উচিত স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক। গুরুপাক ধরনের খাবার পেটের সমস্যা সৃষ্টি করে।
সারাদিন রোজা রাখার পরে দেহের পানির চাহিদা বাড়ে। তাই পর্যাপ্ত তরল ও পানি ধর্মী খাবার খাওয়া উপকারী।
বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা ইফতারে পুষ্টিকর, আরামদায়ক ও পানি বহুল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।
তার কথায়, “ইফতারে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, ধীরে ধীরে। পানির চাহিদা পূরণ করতে যে কোনো রসাল বা তরল খাবার যেমন- ফলের রস, শরবত, সুপ ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। এতে সারাদিনের পানির ঘাটতি কমে আসে।”
শরবত হিসেবে মৌসুমি ফল, লেবু, ও গুড়ের পানীয় বাছাই করা যায়। এগুলো শরীর ঠাণ্ডা রাখে।
ইফতারে খেজুর একটি আদর্শ খাবার। মিষ্টি ফল হওয়াতে দ্রুত রক্তে শর্করার ঘাটতে পূরণ করে। এছাড়াও হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
শুধু খেজুরই নয় অন্য যে কোনো ফল ইফতারে রাখার পরামর্শ দেন, তিনি।। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ হবে।
চিবিয়ে খেতে হয় এমন ফল- আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি, বরই, তরমুজ ইত্যাদি খাওয়া উপকারী।
যতটা সম্ভব ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তেল সমৃদ্ধ ও ভাজাপোড়া খাবার গ্যাস, বুক জ্বালাপোড়া ও হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।
“ইফতারে পেট ঠাণ্ডা থাকে এমন খাবার যেমন- দুধ-চিড়া বা দই-চিড়া অথবা মুড়ি খাওয়া ভালো। দই পেটের সার্বিক সুস্থতা রক্ষা করতে সাহায্য করে”- বলেন ফারাহ মাসুদা।
“তাছাড়া, অতিরিক্ত মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার, চা কফি ইত্যাদি ইফতারে না খাওয়াই ভালো। কেউ চাইলে হালকা মিষ্টিজাতীয় খাবার রাখতে পারেন। তবে পরিমাণ যেন খুব বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে” পরামর্শ দেন তিনি।
এই সময়ে প্রোটিন ধর্মী খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তবে পরিবারে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি থাকলে তাদের কথা বিবেচনা করে ইফতারের মেনু ঠিক করতে হবে।
কৃত্রিম রং মেশানো জুস বা কোমল পানীয় খাওয়া ঠিক নয়। এতে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তাছাড়া সারাদিন কিছু না খেয়ে ইফতারে আজেবাজে খাবার না খাওয়াই ভালো- বলে মনে করেন এই পুষ্টিবিদ।
আরও পড়ুন
দেহে মসলাদার ভাজা খাবার খাওয়ার বাজে প্রভাব