সহানুভূতি শুধু অন্যের জন্য নয়, নিজেরও জন্যও প্রয়োজন।
Published : 04 Feb 2025, 04:19 PM
নিজেই নিজেকে সহানুভূতি দিতে পারলে মানসিকতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
কষ্ট পাওয়া, নিরাশা, অকৃতকার্য হওয়া বা অতৃপ্তি- এসব অনুভূতি অতিক্রম করতে সহায্য করে আত্ম-সহানুভূতির শক্তি।
এই বিষয়ে হার্ভার্ড’য়ের মনোবিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার গার্নার, তার ‘দি মাইন্ডফুল পাথ টু সেল্ফ-কম্প্যাশন’ বইতে লেখেন- মানসিক ও শারীরিকভাবে নানান উপকার করতে পারে আত্ম-সহানুভূতির।
যন্ত্রণাভোগের সময় আত্ম-সহানুভূতির কারণে মানুষ নিজের প্রতি দয়ালু আচরণ করে। ফলে দুশ্চিন্তা ও এই সম্পর্কিত বিষণ্নতা লাঘব হয়।
কারও কারও মাঝে এই ক্ষমতা প্রাকৃতিকভাবেই থাকে, কারও আবার শিখতে হয়। আর বিষয় হল, এটা শেখাও যায়।
গার্নার-সহ অনেক মনোবিজ্ঞানী মনে করেন- শারীরিক, মানসিক, আনুভূতি, সম্পর্ক এবং আত্মিক মাধ্যমে পাঁচটি পন্থায় আত্ম-সহানুভূতি আয়ত্ত করা যায়।
এটা অনুশীলন করার উপায়গুলো হল:
দেহকে আরাম দেওয়া। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। শুয়ে বিশ্রাম নেওয়া। ঘাড়, পা বা হাত নিজেই মালিশ করা। হাঁটতে যাওয়া। অর্থাৎ শারীরিকভাবে এমন কিছু করা, যাতে মনে হয় নিজের প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছেন।
নিজেকে চিঠি লেখা। যে কারণে কষ্ট হচ্ছে সেটার ব্যাখ্যা নিজেই লেখা। হতে পারে সেটা- প্রেমে ভাঙন, চাকরি হারানো বা কারও কাছ থেকে সমাদর না পাওয়া যন্ত্রণা। শুধু কাউকে দোষ দেওয়া যাবে না, নিজের অনুভূতিটা ব্যক্ত করতে হবে।
নিজেকে অনুপ্রাণিত করার পদক্ষেপ নিতে হবে। কাছের কোনো মানুষের একই রকম পরিস্থিতি হলে, কী বলতেন। সেটাই নিজেকে বলুন। এই ধরনের আত্ম-সহানুভূতি ইতিবাচকতা তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
আত্মতৃপ্তির অধ্যাবসায় করা। এটা হল বিচার না করে বরং নিজের ভাবনা, চিন্তা ও কার্যকলাপগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আয়নার দিকে তাকিয়ে, যা দেখছেন তা যদি ভালো না লাগে, তবে খারাপটাকেই ভালো হিসেবে ধরে নিয়ে, মানে যা হয়েছে ভালোই হয়েছে- এরকমভাবে নিজের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন
বন্ধুর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশে ভুল প্রক্রিয়া